
হাসান আজিজুল হকের ছোটগল্প ‘শকুন’ : লোকভাষা ও রূপক
বাংলা সাহিত্যে কথাসাহিত্যের বয়স খুব বেশি নয়। উনবিংশ শতাব্দী থেকে বর্তমান পর্যন্ত খুব কম সাহিত্যিক নিজেদের স্বকীয়ভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন। যে-কয়জন সাফল্যের সাথে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন হাসান আজিজুল হক তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে স্বাধীনতা উত্তর সময়ে অনেকটাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
সাতচল্লিশের দেশ বিভাগের সময় সীমানার কারণে মানুষে মানুষে যে বিরোধ ও দাঙ্গা লেগেছিল তা হাসান আজিজুল হককে ভিন্ন এক মানুষে পরিণত করেছে। দেশবিভাগের বিভীষীকা নিয়ে সাহাদাত হোসেন মান্টোর ছোটগল্প সবার দৃষ্টি কেড়েছে। কারণ, মানবতার মধ্যে যে বিরোধ ও বিভক্তি তা সৃষ্টিকর্তার সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু দেশ বিভাগের এ বিভীষীকা নিয়ে ’৪৭ পরবর্তী সময়ে পুর্বপাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের মধ্যে খুব একটা নাড়া দিয়েছে বলা যাবে না। কিন্তু হাসান আজিজুল হক ভিন্ন। ষাটের দশক থেকে আমৃত্যু তিনি দেশ বিভাগের ক্ষত নিয়ে মানুষের বিরোধের বিরুদ্ধে বেদনা অনুভব করেছেন।
লোকসাহিত্য যে-কোনো দেশের প্রকৃত ঐতিহ্য ও জীবনাচারকে প্রতিষ্ঠিত করে। লোকসাহিত্য অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে রচিত হয়। লোকসাহিত্য এ ধারনাটি বা স্টাডিটির বয়সও খুব বেশি নয়। বিশেষ করে ঔপনিবেশিক শাসনে পিষ্ট উপনিবেশিত জনগণের মধ্যে ধীরে ধীরে জাতীয়তাবাদের জাগরণ তৈরি হয়। পাশাপাশি ঔপনিবেশিক দেশগুলো বুঝতে পারে দিনে দিনে তারা নানা রকম চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। তাই ধর্মীয় আবহে অন্য দেশকে শাসন করা সম্ভব নয়। ফলে নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক উৎকৃষ্টতা প্রমানের মধ্য দিয়ে ‘আমরা’ ও ‘অন্যরা’ দু’টি ধারা তৈরি করে কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক। যার ফলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে তথাকথিত প্রান্তিককে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।
লোকসাহিত্য সমষ্টির সাহিত্য, আবেগ, চিন্তা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে। বিষয় ভাষা ও রীতির ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারাই এতে অনুসৃত হয়। কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবন-ক্ষমতা ও পরিশীলিত চিন্তার অভাব থাকলেও লোকসাহিত্যে শিল্পসৌন্দর্য, রস ও আনন্দবোধের অভাব থাকে না।
১৮৪৬ সালে উইলিয়াম থমস্ ‘দি এথেনিয়াম’ পত্রিকায় প্রথম ফোকলোর তথা লোকসাহিত্য শব্দটি ব্যবহার করেন। সংজ্ঞা নিয়ে এখনো নানা বিতর্ক থাকলেও একটি বিষয়ে সবাই ঐক্যমত মৌখিক ঐতিহ্যের মাধ্যমেই ফোকলোরের উৎপত্তি। ফোকলোরবিদগণ মনে করেন লোকঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতি এবং বিশ্বাস ভৌগলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
লোকসাহিত্য নিরুপণের ক্ষেত্রে লোকভাষার প্রতি গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি দিতে হয় কেননা এ ভাষার মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের বিশ্বাস ও পারস্পরিক সর্ম্পকের মালা। আঞ্চলিক ভাষার প্রলেপ দিয়ে কোন দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের কথাকে দমিয়ের রাখার সুযোগ আর থাকলো না। লোকবিশ্বাস লোকসাহিত্যের অন্যতম উপাদান। শালিক পাখির সংখ্যা যেমন সাধারণ মানুষের মনে নানা বিশ্বাসের সঞ্চার করে তেমনি পুরানো তেতুল গাছও মানুষকে বিশ্বাসের দিক থেকে নিয়ন্ত্রন করে। এর সাথে রূপকের ব্যবহার সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলে। হাসান আজিজুল হকের ছোটগল্প ‘শকুন’ এর বাস্তব উদারণ।
আঞ্চলিক ভাষাকে সবার বোধগম্য করে প্রকৃতজনদের কথা শহুরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে হাসান আজিজুল হক হাজারো বছরের পুরানো সংস্কৃতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পাঠক হৃদয়ে। সাহিত্য মানুষের চিন্তা-চেতনার শৈল্পিক উপজনন-মানুষের স্বকীয় চিন্তাধারা ও কল্পনার মিশেলে যার শিল্পরূপ দিতে পারেন সাহিত্যিক। এই কথাটি একটি মৌলিক স্বরে উচ্চারণ করেছেন হাসান আজিজুল হক: ‘যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কি? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।’
সাহিত্য-পাঠক আর সকল মানুষের চোখে তাই সাহিত্যিকেরা প্রিয় ও প্রণম্য। সাহিত্য বিবেচিত হয় চিরায়ত সম্পদ হিসেবেই- যা সর্বদা জাতি ও সমাজসমূহের নিজ নিজ সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে। সমাজের বাস্তব বা দৃশ্যগ্রাহ্য ও স্বপ্নময় আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে কথাসাহিত্যে। মূলত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঐতিহাসিকভাবে অস্তিত্বমান বাঙালি-সমাজের বাস্তব ও স্বপ্নময় জগৎকে ছোটগল্পের আঙ্গিকে শিল্পরূপ দিয়েছেন। তাঁর গল্পে ভাষা-ব্যবহারে ও তাঁর নিজ দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আমাদের দেশভাগের ক্ষত বা জ্বালামুখ নিঠুর আক্ষয় সারল্যে শিল্পরূপ পেয়েছে, যা আমাদের চিরায়ত সম্পদে পরিণত হয়েছে।
১৯৬০ সালে সমকাল পত্রিকার মাধ্যমে হাসান আজিজুল হকের সাহিত্যজীবনের সুত্রপাত হয়। সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকায় তাঁর ‘শকুন’ গল্প প্রকাশিত হয়। এই গল্পের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত হন। সাতচল্লিশ পরবর্তী সময়ে মহাজনদের দৌরাত্ম আর পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লেখা এ-গল্পটি লোককাহিনীর নির্ভর।
‘শকুন’ গল্পটির শুরু ও শেষ দু’ই লোকবিশ্বাস ও কাহিনীতে পরিপূর্ণ। গল্পটি শুরু করেন এভাবে, “কয়েকটি ছেলে বসে ছিল সন্ধ্যার পর। তেঁতুলগাছটার দিকে পিছন ফিরে। খালি গায়ে ময়লা হাফশার্টকে আসন করে। গোল হয়ে পা ছড়িয়ে গল্প করছিল। একটা আর্তনাদের মত শব্দে সবাই ফিরে তাকাল। তেঁতুলগাছের শুকনো ডাল নাড়িয়ে, পাতা ঝরিয়ে সোঁ সোঁ শব্দে কিছু একটা উড়ে এল মাথার ওপর। … হামেষা দেখা যায় এমন পাখিদের মধ্যে শকুনই তীব্রভাবে মাটিতে নেমে তাল সামলানোর জন্যে খানিকটা দৌড়ে যায়। তাই তার চোখেই প্রথমে পড়ল অন্ধকারের তালটা দৌড়তে দৌড়তে খানিকটা এগিয়ে বিব্রত হতভম্বের মত দাঁড়িয়ে গেল।”
এখানে দু’টি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। এক, সন্ধ্যাবেলায় তেঁতুলগাছে ভূত থাকে এবং সে ভূতের আক্রমণে শেষ হতে পারে যে কেউ। এমন বিশ্বাস খুব সাধারণ। লোকবিশ্বাস মতে সন্ধ্যা হলেই পুকুর পাড়ের পুরানো তেঁতুলগাছ থেকে নেমে আসে ভূত। গাঁয়ের দুষ্ট ও নানা-বয়সী ছেলেরা সাধারণত ভয় পায় না। কিন্তু বাতাসে মর্মর শব্দ শুনে ভয় পেল তারা। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলো। যদিও খানিক পরেই দেখতে পেল বৃদ্ধ শকুন পরে আছে গাছের নিছে। অন্ধকারে চোখে দেখতে পায়নি শকুনটি। তাছাড়া বয়সের ভারেও নড়তে পারেনি।
লোকসংস্কৃতির মধ্যে লুকিয়ে থাকা কু-সংস্কারকে বিদায়ের উপায় এ গল্পে উঠে এলো সুন্দরভাবে। সবাই ভয় পেলেও স্কুল পড়ুয়া বালক ঠায় দাড়ঁয়ে থেকে বুঝার চেষ্টা করল প্রকৃত রহস্য কি। খানিক পরে বুঝতে পারল বুড়ো শুকুনের উপস্থিতির সাথে বাতাসের মর্মর শব্দ এবং গা থেকে বেরিয়ে আসা দুর্গন্ধ দাড়িঁয়ে থাকতে দিতে চায় না।
“একটা দমকা বাতাসে অজস্র শুকনো পাতা ঝরে পড়ল। পুকুরের পানিতে প্রথমে মৃদু কম্পন, তারপর ছোট ছোট ঢেউ উঠল- কার হাত থেকে কোথায় ধাতব কিছু পড়ে বিশ্রী অস্বস্তিদায়ক একটা শব্দ হলো।” লোকসাহিত্যে এ শকুন বিশ্বাস ঘাতক ও রক্তচোষা মহাজনদের প্রতীক। মহাজনদের শেষ পরিণতি উঠে এসেছে এখানে। শোষিত বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি হচ্ছে এসব ছোট ছেলেরা। অল্পতেই ভয় পায়। কিন্তু হৃদয়ের ক্ষরণ ভুলতে পারে না। সুযোগের অপেক্ষায় থাকে মাড়িয়ে দেবার।
‘গ্রাম্য নানা কিসিমের বালকেরা মিলেমিশে যা করে- দুষ্টমি হৈহুল্লোড় এসবের কেন্দ্রিয় চরিত্রে থাকে শকুনটি। বালকেরা নানান কথা বলে, মন্তব্য করে। হাসি-তামাশার মধ্যেই আবর্তিত হয় শংকায় ভরা সময়টি। সময় যেতে থাকে, গড়িয়ে বাড়তে থাকে কৌতুহলের পরাকষ্টা। একেবারেই গ্রামের ছেলে-নিরিড় বৃক্ষঘেরা, ঝোঁপভরা নির্জনে ছেলেরা অসহায় শকুনকে তুলনা করে মহাজনদের সাথে।’ হয়তো এ কিশোরদের মাধ্যমেই শ্রেণি ব্যবধানকে উপড়ে ফেলতে চান। তকে কি শোষকেরা শেষ পর্যন্ত লাঞ্চিত হয় শোষিতদেরই উত্তাধিকারে? মানুষের বিজয়কে, তৃণমূল পর্যায়ের ভাবনাবলয়কেই হাসান আজিজুল হক ‘শকুন’ গল্পে বিধৃত করেন মূলত। শকুনের পরিণতি দেখে যে কেউ চমকে যেতে পারে। এ শকুন পাকিস্তানি সমাজ ব্যবস্থারও প্রতীক। কিশোরেরা প্রতিবাদী বাংলার দামাল যোদ্ধা।
শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে শকুন রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানি শাসকদের ছত্রছায়ায় মহাজনদের শেষ পরিণতিকে যেমন এ গল্পে বুঝানো হয়েছে তেমনি পাকিস্তানি হায়েনাদের শেষ পরিণতির ইঙ্গিত এখানে ফুটে উঠেছে। শেষ আকুতিকে চিত্রায়িত করে গল্পকার লিখলেন, “অন্তত মুক্তি পেতে এই অসহনীয় কিশোরদের হাত থেকে, তাদের হিংস্র কৌতুহল আর প্রাণান্ত খেলার খপ্পর থেকে। কিন্তু তার চোখে দৃষ্টি নেই, চলার কোন উদ্দেশ্য নেই। শকুনটার মাথা ঠুকে গেল দেয়ালে। পেছনে পেছনে একদল খুদে শয়তানের মতো প্রতিহিংসাপরায়ণ ছেলের দল নিষ্ঠুর আনন্দে ধাওয়া করেছে। কিন্তু পাখিটা পার হতে পেরেছে অন্ধকার গলিটা। কারণ গলিটা কানাগলি নয়। গলির দুপাশের দেয়ালের ফুটোয় যে সাপগুলো গ্রীষ্মের গরমে গলা বের করে থাকে, যদি তারা সেই অবস্থায় থাকত তাহলে নিশ্চয়ই মাথা আবার গুটিয়ে নিয়েছে।”
প্রতিরোধের বড় অস্ত্র সাহস। সাহসের সাথে এগিয়ে আসলে শত্রু যত শক্তিশালী হোক না পরাজিত হবেই। হাসান আজিজুল হক এমনটাই মনে করছেন। এমন উদ্দীপনার সময় তিনি আঞ্চলিকতার সংমিশ্রন করে বললেন, “চিৎকার করে কে আর্তনাদ করে উঠল। তার পায়ে শুকনো হাড়ের চোখাদিক ফুটে গিয়েছে। আচ্ছা উ বসে থাকুক, শিকুনিটোকে ধরবুই। চেঁচিয়ে বলে উঠল রফিক। হ্যাঁ, তু বোস, আমরা ওটোকে ধরবুই। নাইলে তু বাড়ি যা। এঃ লউ পড়ায় যি। যাকে লেগেছে সে বলল, পড়ুক যা। বলে খোঁড়াতে খোঁড়াতে আবার ছুটল। সামনেই একটা এঁটো ডোবা। মোড় ফিরেই মাটি ছাড়ল, উড়ল সে।”
শেষ পরিণতি সত্যিকার অর্থেই ভয়ানক হলো, কেননা, “শেষ পর্যন্ত সবাই ধরে ফেলল ওকে। আঁকড়ে জাপটে দুমড়ে ধরে ফেলল শকুনটাকে। তারা বুক দিয়ে অনুভব করল হাঁপরের মতো প্যাসফেসে শূন্য শব্দ উঠেছে শকুনটার ভিতর থেকে। দীর্ঘশ্বাসের মতো- ফাঁপা, শূন্য, ধরা-পড়ার।”
কিন্তু গল্পের শেষ অংশ যেকোন বিচারে অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। শত্রুপক্ষকে অবহেলা করলে এবং দুর্বল ভাবলে এর পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত প্রকাশ পেয়েছে। গল্পকার বললেন, “সামনেই গতরাতের শকুনটা মরে পড়ে আছে। মরার আগে সে কিছু গলা মাংস বমি করেছে। কত বড় লাগছে তাকে। ঠোঁটের পাশ দিয়ে খড়ের টুকরো বেরিয়ে আছে। ডানা ঝামড়ে, চিৎ হয়ে, পা দুটো ওপরের দিকে গুটিয়ে সে পড়ে আছে। দলে দলে আরও শকুন নামছে তার পাশেই। কিন্তু শকুন শকুনের মাংস খায় না। মরা শকুনটার পাশে পড়ে রয়েছে অর্ধস্ফুট একটি মানুষের শিশু। তারই লোভে আসছে শকুনের দল। চিৎকার করতে করতে। উম্মত্তের মতো। আশপাশের বাড়িগুলি থেকে মানুষ ডেকে আনছে মৃত শিশুটি। ই কাজটো ক্যা করল গো? মেয়ে-পুরুষের ভিড় জমে গেল আস্তে আস্তে। শুধু কাদু শেখের বিধাব বোনকে দেখা যায় না। সে অসুস্থ, দিনের চড়া আলোয় তাকে ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে।”
সত্যিকারার্থেই হাসান আজিজুল হক বাংলা সাহিত্যের কথাশিল্পে অনন্য মাত্রা সংযোগ করেছেন পৌরণিক কাহিনী, লোক বিশ্বাস, লোকভাষা ও সমসাময়িক রাজনীতির কুটচালে পিষ্ট মানুষের হাহাকারকে প্রাণবন্তভাবে চিত্রায়নের মাধ্যমে। লোকসাহিত্যের উপাদানগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টির অনন্য নজিরও তিনি স্থাপন করেছেন। শ্রদ্ধা এ যুগশ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিকের বিদেহী আত্মার প্রতি।
তথ্যসূত্র:
১. হাসান আজিজুল হক, ‘শকুন’
২. মোহিত কামাল, “জীবনযাত্রার এক অসামান্য রূপকার, শব্দশিল্পস্রষ্টা”, শব্দঘর, ঢাকা।
৩. আনিসুজ্জামান, “হাসান আজিজুল হককে শুভেচ্ছা”, শব্দঘর, ঢাকা।
৪. ইকবাল হাসান, “প্রকৃতি ও মানুষের কবি হাসান আজিজুল হক”, শব্দঘর, ঢাকা।
৫. কাজল রশীদ শাহীন, “দেশভাগ ও হাসান আজিজুল হক”
৬. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, “ব্যতিক্রমী কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক”
৭. আশরাফ সিদ্দিকী, লোকসাহিত্য, গতিধারা, ঢাকা।
৮. ডক্টও মযহারুল ইসলাম, ফোকলোর পরিচিতি এবং লোক সাহিত্যের পঠন-পাঠন, বাংলা একাডেমি, ঢাকা।
৯. ওয়াকিল আহমদ, লোককলা তত্ত্ব ও মতবাদ, গতিধারা, ঢাকা।