
সিসিফাস
সিসিফাস
সব জানার পরেও কিছু বাকী থেকে যায়
কোনো প্রাপ্তি পূর্ণ প্রাপ্তি নয়; কোনো জানা শেষ জানা নয়।
এক বিপন্ন বিস্ময় অপেক্ষা করে থাকে
জীবনানন্দের চেয়ে গভীর শূন্যতা নিয়েও কেউ কেউ বাঁচে।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে পুরনো স্মৃতির বান্ডিল নিয়ে যে বসে
তার বর্তমান হারিয়ে যায়; অতীতে আশ্রয় হয়।
অতীত দীর্ঘ আশ্রয় দেয় না; যেতে হয় কল্পনার কাছে
শেষরাতে খাদের কিনারায় বসে থাকে।
ছোট্ট ধাক্কা শুধু বাকী; তার অপেক্ষায় ভোর হয়
দিনশেষে আবার গভীর রাত; আবার স্মৃতি, আবার কল্পনা।
আর কতো আর কতো, সিসিফাস; কোনো ধাক্কাই বুঝি চূড়ান্ত ধাক্কা নয়
আরো চাই, আরো চাই; খাদ বুঝি আরো দূরে সরে যায়।
ঈশ্বর ও দাস
ক্যাসেলের দোতলায় গীর্জা ছিলো
গীর্জায় পাদ্রি ছিলো। প্রার্থনা হতো।
নিচতলায় ড্যানজিয়ন ছিলো
সেখানে বন্দী ছিলো। মানুষেরা কালো।
কম্পাউন্ডের শেষে দরজা ছিলো।
ডোর অফ নো রিটার্ন বলতো।
দরজা মাঝে মাঝে খুলে যেতো।
বন্দীদেরকে জাহাজে তোলা হতো।
আটলান্টিকে কষ্টের যাত্রা।
কেউ টিকতো। কেউ মাছেদের খাবার হতো।
নদীর ওপারে ক্যাথিড্রাল ছিলো।
এপারে মানুষ বেচাকেনার হাট বসতো।
ক্যাসেলের ঈশ্বর ড্যানজিয়নে আসতো না।
নদীর ওপারের ঈশ্বরও এপারে আসলো না।
ভারী মেকাপের ছবি
খুব ভালো ক্যামেরায় ছবি তুলতে নেই
খুঁতগুলো খুঁটিনাটি ধরা পড়ে যায়
অবশ্য খুব ভারী ফাউন্ডেশনের উপর মেকাপ দিলে কথা নেই।
মেকাপ কিন্তু চিরস্থায়ী নয়
রোদেঘামে নষ্ট হয়; জল লাগলে ধুয়ে যায়
তখন হয় ক্যামেরার দোষ; খুঁতগুলোকে দেখলো কেনো সে!
ক্যামেরা তো জড়; যা দেখে তাই দেখায়
হ্যাঁ, যদি পারো হাত লাগিয়ে ফোকাসটা ঝাঁপসা করে দিতে
তাহলে তার চোখ ঘোলা। সে আর ঠিকঠাক দেখে না।
সবাই বড্ড ভারী মেকআপ নিয়েছি
খুঁতগুলো ঢাকা পড়ে গেছে; ঢাকা পড়ে গেছে মুখটা
সবাই দেখছে মেকাপ; অথবা মুখোশ।
হঠাৎ বৃষ্টিতে মেকাপ ধুয়ে গেলে কীভাবে দেখাবো মুখ?