
শেকলের নূপুর : প্রান্তিক জিজ্ঞাসা মনের সারল্য তরজমা
নিজের সময় ও সমাজকে পর্যবেক্ষণের আপাত নিরীহ, কিন্তু গভীর দৃষ্টিভঙ্গির কবিতা গ্রন্থের নাম শেকলের নূপুর। এটি কবি হানিফ রাশেদীনের দ্বিতীয় কাব্য, প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ। এ-গ্রন্থের কবিতাগুলোতে কবি একজন প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আপামর জনযাতনা, গণবঞ্চনার অনুভূতিমালা গেঁথেছেন দারুণ গদ্য ছন্দের কবিতা শরীরে। উৎসর্গ পত্রের দিকে দৃকপাত করলে একই বিষয়ের অনুরণন ঘটবে, কবি লিখেছেন, “ভোরের ট্রেন আসার প্রতীক্ষায় যারা পথের বাঁকে জ্বলিয়ে রাখেন চোখের লণ্ঠন/তাঁদের জন্য”। এই ‘যারা’ আসলে কারা? এটা সহজেই অনুমেয় যা আগেই উল্লেখ করেছি। কবি তাঁদেরকেই উৎসর্গ করেছেন, মূলত যাদের অনুভূতিকে ঘিরে রচিত হয়েছে আলোচ্য কাব্যের কবিতাগুলো। না, এখানে বর্তমান সময়ের নিরীক্ষা প্রপঞ্চের দলন নাই, নাই শব্দের বাগাড়ম্বর কিংবা বাক্য বাঁকের চালাকি, চতুর-চটুল কথ্য প্রকাশেরও কোনো বালাই এই কাব্যে নাই। কবি এ দেশের সহজ সরল কৃষিজীবী মৎসজীবী মানুষের স্বাভাবিক অনুভব ও চিন্তা-যাপনকে সহজ ও সুললিত গদ্যছন্দে রূপায়িত করেছেন। এবং স্বার্থকতার বিষয় হলো, কবি এটা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন যে প্রান্তিক জনতা রাষ্ট্রীয় প্রায় সমস্ত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্র-সমাজ-মানুষ নিয়ে তাঁদের চিন্তা কোনো অংশে কম নয়; এমনকি যথযথ সুযোগ পেলে তাঁরাও বৃহত্তর কর্মে নিজেদের নিয়োজিত করার সামর্থ রাখেন।
বস্তুতপক্ষে আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো, আইন-কানুন ও এর প্রয়োগ এবং সরকারি নীতিমালা ইত্যাদি এখনো বহিরাগত ইংরেজ কোম্পানি শাসনের আলোকে রচিত ও পরিচালিত হচ্ছে এবং অনেকাংশে এ দেশের আইন প্রণয়নকর্তা ও আইনের রক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গি সেই বাণিজ্যিক বিধাতা ইংরেজদের মতোই আছে। ফলশ্রুতিতে, নামে গণতন্ত্র থাকলেও দেশের সাধারণ জনগণ তার সুফল পায় না, বরং বিভিন্ন সেবা ও সুবিধার ক্ষেত্রে তারা বঞ্চনা ও গঞ্জনার শিকার হয়। সাধারণ মানুষ বান্ধব প্রশাসন আজও তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে পড়ে কবি হানিফ রাশেদীন উচ্চারণ করেন—
আর কতো আহাজারির পর
অবসান হবে স্বেচ্ছাচারী মাকড়শার নিখুঁত খেলা
নিন্দিত হবে বর্বরতা
হেসে উঠবে নির্মল সবুজ বসন্ত
[মাকড়শার জাল, পৃ-১০]
শোষণের বিধান আর ভঙ্গুর সমাজবাস্তব যেন মাকড়শাল জালের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে আমাদের দেশ তথা দেশের মানুষকে শত শত বছর ধরে শোষণের শিকার হতে বাধ্য করছে। বহুটা পথ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই একবিংশ শতাব্দিতে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে থাকার পরও যখন শোষণ-বঞ্চনার সমাপ্তি না হয়, তখন একজন কবির কলমে এমন আহাজারি প্রকাশ করা ছাড়া কোনো উপায়ান্ত থাকে না আসলে। কারণ, কবি ওই সাব-অল্টার্ন বা প্রলেতারিয়েত বা গরিব দুঃখি আপামর জনতার একজন প্রতিনিধি, যিনি লীন হয়ে আছেন এই সকল মানুষের সুখে দুঃখে। তাই, কবি কণ্ঠে আমরা শুনতে পাই আক্ষেপ—
উড়ে গেল শান্তির পায়রা
ওড়ার কথা
স্বদেশের প্রত্যেক বাড়ির আকাশে
কিন্তু ঘুরে ঘুরে উড়তে থাকল
আমরা দেখছি—
কেবল বহুতল ভবনের আকাশে
[স্বদেশ, পৃ-১১]
ইংরেজ-পাকিস্তনিদের বিতারিত করেও আমরা আজও সামগ্রিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। কতিপয় পুঁজিপতির বগল তলে ক্ষমতার কুরসি এবং তাদের খেয়াল খুশিতে চলা রাষ্ট্রের বাকি সব জনতা যখন পিষ্ঠ-নিগৃহীত, সামগ্রিক সমাজ যখন দুর্ণীতির দায়ে জর্জরিত তখন এমন আহাজারি, হতাশার বাণী প্রতিটি ঘরে ঘরে উচ্চারিত এবং সেই উচ্চারিত অথবা অবদমিত ব্যথা বেদনার হাহাকার কবি হানিফ রাশেদীন তুলে এনেছেন তাঁর এই শেকলের নূপুর কাব্যে দারুণ মুন্সিয়ানায়। কবির সাথে সাথে হয়তো আপনি-আমি বা দেশের সকল জনতা মনে মনে বিড়বিড় করি—
ভাতের মাড়ের সাথে
অনুগ্রহ করে প্রভুরা কয়েকটা ভাতও ছিটিয়ে দেয়
ফলে এই সত্য প্রতিষ্ঠা হয় যে
প্রকৃত বিচারে প্রভুরাই আমাদের পিতা-মাতা
[আমাদের পূর্বপুরুষ, পৃ-১৫]
প্রকৃত বিচারে ‘প্রভুরা’ যাই হোক না কেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষের দিন শেষে নিজেদের সময় আসলেও এখনও কি আমরা এই ‘মকড়শার জাল’ ছিঁড়ে বের হতে পেরেছি? সত্যিকারের মুক্তি আমরা কখনোই পাইনি। আমাদের অজ্ঞান করে রাখার সমস্ত কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে পিষে মারা হয় প্রতিদিন, আর আমরা কেবল সহ্য করে যাওয়া শিখি, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্বপুরুষ হয়ে আজও আমাদের শিখাচ্ছে সহ্য করে কুঁকড়ে বেঁচে থাকা। এ যেন পারম্পার্যে চলমান নিপীড়নের ভূখণ্ড, সর্বত্র যেখানে শোষক ও দুঃশাসনের জয়জয়কার—
আমাদের পূর্বপুরুষরা এক সময় হয়তো কাক ছিল
অজস্র জন্ম ধরে আমরা শিখছি
প্রভুদের সেবায় দীর্ঘ জীবন উৎসর্গ করার কৌশল
[আমাদের পূর্বপুরুষ, পৃ-১৫]
সমাজের এই দাসখত চিত্রটি কবি পর্যবেক্ষণ করেছেন জন্মাবধি এবং জনমনে লালিত দুঃখকে আপন করে নিজের হৃদয়ে গেঁথে সেবা যত্নে করে তুলেছেন কাব্য স্বরের উপযোগী এবং এই গ্রন্থটি যার উদাহরণ। কবির এই বর্ণনাত্ম আপাত সাধারণ স্বর কতোটা অসাধারণ ভিতর বোধের প্রকাশ তা আমাদের সমাজের নিপীড়িত আপামর জনতা মাত্রই জ্ঞাত। আমরা বারবার বিদেশীদের দ্বারা শাসিত ও শোষিত দলিত-মথিত হতে হতে বর্তমানে যারা আমাদের বংশজ ক্ষমতার আসনে যান, তারাও বিভ্রান্ত হয়ে সেই শাসন কাঠামোর মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন এবং ভুলে যান দেশ ও মানুষের কল্যাণ। তবু এই দুষ্টু শাসনচক্রের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নাই, কেউ এগিয়ে আসে না এই চক্র ভেঙে নতুন কাঠামো বাস্তবায়নে। তাই যুগে যুগে গায়েন ও কবিরা মানুষের দুঃখ বেদনাকে আপন হৃদয়ে ধারণ করে প্রকাশ করছেন তাদের দেখা চিত্র ও বিচিত্র ভূ-প্রকৃতি ও সমাজ কাঠামো, মানুষের জীবন যাপন। কবি হানিফ রাশেদীনও সেইসব কবিদের একজন, যিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক ও সুন্দর উপস্থাপনায় নিজের সমাজ ও সময়কে তুলে ধরেছেন। এর জন্য তাঁকে কোনো নিরীক্ষা বা চালাকির আশ্রয় নিতে হয়নি। অথবা কোনো ছদ্মবেশ ধারণ করতেও হয়নি। তিনি কেবল তাঁর মনের কথাগুলোকে কাব্যসুন্দরে বিন্যাস্ত করেছেন এবং গদ্যের ঝঙ্কারে কবিতার শরীরকে গেঁথে রচনা করেছেন প্রান্তিক তথা সাব-অল্টার্ন মানুষের যাপিত আর্তস্বর, দুঃখ দুর্দশার চিত্র।
একই সাথে কবি আধুনিক জীবন-প্রপঞ্চ থেকে নিজেকে আড়াল করে রোমান্টিক ভাব-কল্পনায় নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। কোনো রাখাঢাক না করেই তিনি তাই আধুনিক বা উত্তারাধুনিক কালে মানুষের যে একান্ত ব্যক্তিগত সংকট মোকাবেলা করতে হয়, সেই বিপন্নতার অনুভূতিও রচনা করেছেন তাঁর এই কাব্যে। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই যে সংকট মানুষকে তাড়িত করে আসছে, ফ্রয়েডিও মনোবীক্ষণ যাকে মানুষের সামনে মুর্ত করে তুলেছে তাহলো একাকিত্ব বোধ। বিংশ শতাব্দী থেকে এমন কোনো কবি সাহিত্যিক নাই যিনি এই বোধে তাড়িত হননি। কবি হানিফ রাশেদীনও এর ব্যতিক্রম নন। তাঁর এই শেকলের নূপুর কাব্যে তিনিও এই একাকিত্ব বোধকে চিত্রিত করেছেন বহুমাত্রিক শব্দ প্রকাশে—
মানুষের সাথে এখন নেই মানুষের পরিচয়
যে দূরদেশেই যাও তুমি
পৃথিবীর কোথাও নেই একটু প্রশান্তি
পরিচ্ছন্ন জীবনের প্রয়াস
[ভোরের ট্রেন, পৃ-১৯]
পৃথিবীর সকল দেশ পুঁজিবাদের ভ্রষ্টচক্রে আটকে প্রযুক্তির আগ্রাসনের বলি হচ্ছে। মানুষ যান্ত্রিক জীবনের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে দৌড়মুখর জীবনযাপন করছে, কোথাও একদণ্ড শান্তি নাই, প্রশান্তি তো দূরের কথা। এই অস্থির মানুষগুলো যে দিনদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সে কথাগুলো কবি নানাভাবে এ গ্রন্থে ফুটিয়ে তুলেছেন—
আজ ছিন্ন হয়ে গেছে দেখো মাটির সঙ্গে সানাইয়ের সুর
ছিন্ন হল বুঝি প্রতিটি জানালার সঙ্গে আকাশের সম্পর্ক
নিজেকে ছাড়া কোথাও আর কাউকে দেখা যায় না
[সম্পর্ক, পৃ-২২]
মানুষ ব্যক্তি অর্জনের পিছে ছুটে ভুলে যায় নিজের সত্ত্বার আকুতি, আত্মায় বাঁধা পরিজন-বান্ধব এবং এক সময় সব হারিয়ে হয়ে ওঠে একলা প্রাণ। এমনকি চলমান যাপনের কাঠামোতে চাইলেও স্বজনদের কাছে পাওয়া যায় না। যে যার রাস্তায় শুধু দৌড়ায় আর হাঁপায়। সেই হাঁপানির ভ্রমে আর কাউকে মনে পড়ে না। কিন্তু যখন নিজেকে খুঁজে ফেরে মানুষ, তখন ঠিকই তার মনে পড়ে সকল সম্পর্ক, বন্ধু-স্বজন। এই কথাগুলোই কবির কলমে এসেছে উপরোক্ত পঙক্তির বেশে।
একটা সংকট আর একটা সংকটের জন্ম দেয়। তেমনি একাকিত্ব বোধের কারণে জন্ম হয় হতাশা এবং সেই হতাশা থেকে সমাজে নেমে আসে নানাবিধ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয় এবং এটাই আমাদের বর্তমান সমাজচিত্র। বিশেষ করে আমাদের মতো তৃতীয় শ্রেণির দেশের জন্য কথাগুলো যেন আক্ষরিক অর্থেই প্রযোজ্য। এমন প্রকট বিষয়টিও সমাজ-মানুষ সচেতন কবি হানিফ রাশেদীনের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি স্বভবতই। ফলশ্রুতিতে তাঁর হৃদয় ব্যথিত রস বুক ফুঁড়ে বেড়িয়ে আসে এভাবে—
চতুর্দিক হতে ধেয়ে আসছে কালকেউটের ছোবল
নির্জন পরিবেশের অজুহাতে গড়ে উঠছে দুর্বোধ্য দেয়াল
[বিলুপ্তপ্রায় জীবনের ভাষা, পৃ-৩৫]
যে দেয়াল বিভক্ত করে রাখে মানুষকে সেই দেয়ালকে কবি সন্দেহ করছেন, তিনি আশংকা করছেন যে হয়তো ওই দেয়ালের আড়ালে কোথাও হচ্ছে আর্ত-মানবতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর তাঁর কলম বেয়ে ঝরে—
যেদিকেই যাই পথে পথে কাঁটা ছড়ানো
এ কেমন সময়
আঁচলে হৃদয়ের অশ্রু, পায়ে শেকলের নূপুর
এগিয়ে চলছি
আর প্রতি পদক্ষেপে রক্তে ভিজে যাচ্ছে ধুলো
[হাত বাড়িয়ে দাও, পৃ-৩৯]
প্রাত্যহিক এই বিরুদ্ধ বাস্তবের আঘাতে জর্জরিত হৃদয় বহন করে আমরা সাধারণ মানুষেরা যাপনের নানা উছিলা খুঁজি, আমরা নিপীড়ত হই, তবু আশায় বুক বাঁধি; দলিত হই, তবু সূর্যের কাছে নতুন ভোরের আস্থা রাখি। এই আমাদের মতো সাধারণ মানুষে লীন কবি হানিফ রাশেদীনও তেমনি বাস্তব পীড়নে তাঁর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় নিয়েও দমে যাননি বা হতাশার কাছে করুণ আত্মসমর্পণে রাজি হননি। তাই, তিনি এই কাব্যের শুরুতে তাঁর পাঠকদের জন্য আশার বাণী দিয়ে শুরু করেছেন—
বিভ্রম সামলে দেখো কোথায় বয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ বাতাস
কেউ তো সেতারে ধরে রেখেছে মিলনের সুর
[আগুন ও বরফ, পৃ-৯]
বাস্তব-বিরুদ্ধতা, শাসনের নামে শোষণ-পীড়ন-অত্যাচার, যান্ত্রিক জীবনের একাকিত্বের ভিড়েও মানুষ যে সত্যিকারের মানুষ মরে যায় না সেই অমোঘ কথাটি কবি প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সুন্দর দুটি পঙক্তিতে। এমনকী তিনি তাঁর পাঠককে পরামর্শ দিচ্ছেন, এই অন্ধকার থেকে পরিত্রাণের উপায় বাৎলে দিচ্ছেন এভাবে—
উসকে দাও ভোরের আগুন
অন্ধকার দেয়ালের নির্জন কোণ হতে
ফুটে উঠুক সূর্যমুখী ফুল
[ভোরের কথা, পৃ-২৪]
এভাবে, আশঙ্কা ও আশার দ্বিমুখী চালে বিন্যাস্ত কবি হানিফ রাশেদীনের দ্বিতীয় কাব্য শেকলের নূপুর। কবি এই দ্বিমুখীতা অবশ্য লুকিয়ে রেখেছেন তার গ্রন্থ শিরোনামের মধ্যেই। শেকল ও নূপুর দুটি বিপরীত অর্থবহ বিষয়কে একটি শিরোনামে ব্যবহার করে পাঠককে পূর্বেই এক নান্দনিক বিরোধাভাস দিয়েছেন কবি। যার স্বার্থকতা আমরা প্রতিটি কবিতার মধ্যে পেয়ে থাকি। তিনি সমাজের তথাকথিত নিম্নস্তরের মানুষের উপর শাসক শ্রেণির দুঃশাসন চাপিয়ে দেওয়া বা শোষণ করার যে চলমান চিত্র সেটি তুলে ধরার সাথে সাথে আধুনিক মানুষের ব্যক্তিগত সংকট এবং সামগ্রিক ভূগোল মানুষের মনোজাগতিক নৈরাজ্যের বিষয়কে আশ্রয় করে লিখেছেন তাঁর কবিতাগুলো এবং তা সারল্য ও সুললিত স্বরে সহজেই পাঠকের কাছে সম্পর্ক স্থাপন করতে যে সক্ষম, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ দেখছি না।