
মাল
—মাল নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?
—কী বলছেন?
(ভদ্রলোকের গালে একটা থাপ্পর পড়ে।)
—মালটা কোথা থেকে ভাগিয়ে আনছো, হুম?
—ব্যাগে আমাদের কাপড়-চোপড়।
—ন্যাকা সাজছো; আমরা কিছু বুঝি না, না?
(আরেকটা থাপ্পর।)
—দেখুন, আমরা…
(লোকটা কিছু বুঝে উঠতে পারে না। পাঁচ-সাত জনের একট দল ওরা।
—বলছি, মালটা নিয়ে কোথায় পালাচ্ছো?
(লোকগুলো গোল হয়ে দুজনকে ঘিরে রাখে।)
—না, আমরা বাড়ি যাচ্ছি।
(ভদ্রলোকের গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে এক মেয়েলোক, চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।)
—ভাবি, আপনি ভয় পাবেন না; আমরা সবাই ভাই-ব্রাদার।
(বিকেল বেলা। চারপাশে মানুষজনের চলাচল। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অনেকেই দিনের শেষ ভাগের আলোয় দেখছে এই দৃশ্য।)
—আমরা দুই মাস আগে বিয়ে করেছি।
—বললেই তো হবে না, লাইসেন্স বের করো।
—বিশ্বাস করুন…
—আচ্ছা, লাইসেন্স থাকলে থাক। আমাদের কি ভাই শখ-আহ্লাদ নাই? বলেন, আমরা কি মানুষ না?
(একজন কোমড়ে গুজে রাখা একটা চাপাটি বের করে। ভদ্রলোকের শরীরে চাপাটির অনেকগুলো কোপ পড়ে।
এতগুলো মানুষ আর চাপাটির বিপরীতে মেয়েটা এক অসহায় প্রাণি। আরও যাদের দেখা যাচ্ছে তারা দর্শকসাধারণ)
—শালা, আমাদের নাকের উপর দিয়ে মাল নিয়ে পালাও।
(মেয়েটাকে একজন কাঁধে তুলে নেয়। মেয়েটা যেতে চায় না।)
—এখন থেকে তোমার ভালো-মন্দের দায়িত্ব আমাদের।