
মধুমাস এলে
জাম
খুকু জাম ভালোবাসে
মজা করে খায়
জাম দিলে গাল ভরে
চুমু দিয়ে যায়।
জাম পেলে আম লিচু
খেতে যায় ভুলে
কাঁঠালের প্রতি ঝোঁক
রাখে যেন তুলে।
লটকন জামরুল
তাল শাঁসও পেলে
জাম খাবে আগেভাগে
সব কিছু ফেলে।
জাম খেলে হাত মুখ
ভরে তার কষে
বকাঝকা করলেও
জাম খেতে বসে।
মধুমাস এলে
লিচুগাছে পাকা লিচু
টকটকে লাল
লিচু খাবে খুকুমণি
ফুলে আছে গাল।
আম খাবে মজা করে
জাম ভালোবাসে
লটকন খেলে তার
জীভে জল আাসে।
কাঁঠালের ঘ্রাণ পেলে
আবদার ভারী
কোন কিছু বোঝে না সে
দেও তাড়াতাড়ি।
মন তার হয় ভালো
জামরুল খেলে
ফল খেতে তাই আড়ি
মধুমাস এলে।
লিচু খাবে
খুকুমণি লিচু খাবে
ফুলে আছে গাল
দিতে হবে গাছপাকা
টকটকে লাল।
খেতে দিলে টপাটপ
খাবে আগেভাগে
হাতে দিতে দেরি হলে
ফেলে দিবে রাগে।
হাতে নিবে গোটা ছয়
সাথে কোচ ভরে
বাধা দিলে রাগে ক্ষোভে
ভাঙচুর করে।
সব মিলে পাঁচ ছয়
লিচু খেতে পারে
তবে তিন গুণ লিচু
দিতে হবে তারে।
জ্যৈষ্ঠ মাস
গাছে গাছে পাকা ফল
প্রকৃতির শোভা
জ্যৈষ্ঠের ফলমূল
আহ্ মনোলোভা।
খুকুমণি লিচু খেতে
খুব ভালোবাসে
পাকা আম খোকা পেলে
মিটিমিটি হাসে।
মুখরিত হয় মন
কাঁঠালের ঘ্রাণে
লটকন জামরুল
জিভে জল আনে।
বাহারি ফল এ মাসে
সুবাস ছড়ায়
সকলেই খেয়ে, ঘ্রাণে
মনটা ভরায়।
নাম কী?
ছোট্ট বড় আকারে
দেখতে যে গোলগাল
চেহারাটা ডোরাকাটা
ভিতরে বেজায় লাল।
টসটসে রসে ভরা
ভিটামিনে ভরপুর
আহ্ খেতে ভারী মজা
সকালে কিবা দুপুর।
পিচ পিচ কেটে কেউ
কেহ খায় ফালি করে
প্রতিটি কামড়ে যেন
গাল বেয়ে রস ঝরে।
গরমে খেতে আরাম
প্রশান্তি দেহে আনে
গুণে মানে অতি সেরা
নাম কী? সকলে জানে।