
বিশুদ্ধ বাসনায়
বিশুদ্ধ বাসনায়
বিশুদ্ধ মানুষ বাসনায়
কিংবা হাজার হুর সম্ভাবনায়
তুমি অথবা তোমরা যখন মূর্খই থেকে যাচ্ছো,
তখন কত শুয়ো পোকা রেশম বনে গেছে
ইন্টারনেট জালে।
অথচ তারাও তখন অতি অশুদ্ধভাবে
একটি নির্জন ব্ল্যাকহোল খুলে দেখে
নীওক্লিয়াস ঘিরে কি সম্ভাবনাময় অশ্লিল প্রেম করছে নিউট্রন ও প্রোটন।
বিস্ময় ভাবনা
কি এক বিশ্ময় ভাবনায় কেটে যাচ্ছে জীবন!
অন্তহীন অথবা কেন্দ্রীভূত ভরবেগ
কিংবা ওজনহীন শূন্যতায় একটি
পেন্ডুলাম মানুষ!
পদার্থ কিংবা অপদার্থ
চেপে থাকা
অণু ও খণ্ড স্মৃতি
মুছে গেল কত আজ?
কুকুর
এক্স-রে রিপোর্টে ভেসে উঠছে
কালো কুকুরের স্কেলেটন
অথছ,
মানুষ দাবি করে বয়ান দিচ্ছ তুমি
উচু থেকে উচু,
স্থান টান টেনে টেনে
ট্রেনের মতো সারি সারি!
উলঙ্গ করে দেখো
তোমার হাউন্ড অথবা
স্ব-গোত্রীয় শিয়ালের লেজ
বেরিয়ে আসবে সব
আলখেল্লা খুলে একটু দেখো
তুমি আর কি দানব!
ওহ!
আমার সোনালী যোদ্ধা!
নাম-দাম মুছে চল-
যুদ্ধ করি
লিখি ইতিহাস
মানুষের।
প্রেম অথবা শ্রাবণ দিনের একটি কদম
না হয় উঠলো না তার খোপায়।
কী তাতে আসে যায়!
কী তাতে আসে যায়!
দুধ
দুধ থেকে দুধে
মা থেকে প্রেমিকা
কিংবা গোপন কেউ………।
আহ! কি দুনিয়া!
ভ্রুণ থেকে সাড়ে তিন হাত দরজা
মাঝে এক জনম…।
এখানে আমাদের
হাজারো বিসুদবার
রাত হয় ক্লান্তিতে
জাগে সকাল।
শুন্য
কি হিশেব শেষে
দাঁড়াই
শুন্যের কাছে,
করি শুন্যে বসবাস!
আমি
অস্তিত্ব
বা
অস্তিত্বহীন
কি বুঝি
কি বুঝি না
হিশেব কে করে
কার।
জীবন গেল শুন্যে
যোগাযোগ
ভালোবাসা
সব শব শেষে
শুন্য, শুন্য শুন্য…..
শুন্য একটা অনন্ত শুন্য
শুন্যে করে শুন্য
কবিরা পারাপার।
সবুজ ভোর ও অসংখ্য স্প্রিন্টার
পারমাণবিক হুঙ্কারে বিব্রত ঘুমে
জেগে উঠে সাইরেন
বুম বুম বুম বুম বুম!
সারিন কিংবা ক্লাস্টারে
কবর নিস্তব্ধ শহর ছেয়ে
যাচ্ছে ছাই কালো মেঘ,
কি অচেনা আমার চিরচেনা শহর!
এমন জলপাই শহরে
এসেছিল কি এমনও কোন ভোর?
যে শিশুটি লুকিয়ে আছে
পাতাল ট্রেনের জংশনে,
এখানেই ছিল তার বিস্তৃত আঙিনা
পিতার উদার বুক, স্নেহশীল মায়ের মুখ।
এই দেখুন!
বাদামী কেশর
দোলদেয়া শিশ
চেরি অরচার্ড, সবুজ বাগান
ছেয়ে গেছে-
কলচে- বাদামি আস্তরন।
ভোরের আলোয় সবুজ ঘাসে আজ
শিশিরের মতো চিকচিক
হীরক স্প্রিন্টার।
আমার দেশ
পিষে দিচ্ছে
দুই বন্ধু
শয়তান…