
বিকিনির কাছে এসে থেমে যায় মানবাধিকার সনদ
বিকিনির কাছে এসে থেমে যায় মানবাধিকার সনদ
বিকিনির কাছে এসে থেমে যায় মানবাধিকার সনদ
সংলগ্ন গর্তে অনায়াসে এঁটে যায় একশো একটা জাতিসংঘ
তারপর মানুষেরা জন্ম দেয় জেলিফিস বেবি
কিম্ভুদকিমাকার মাংসপিন্ড শ্বাস নেয়,
মরে যাওয়ার অপেক্ষা করে
বুঝতে পারে মার্শাল আইল্যান্ড মার্শালদেরই।
অনেক আগে কোনো কোনো পূর্বপূরুষ সফেদ শার্ট পরে
এই দ্বীপ থেকে আমেরিকা গিয়েছিলো; ফেরার সময় উচ্ছলতা ছিলো
শুধু আতিথ্য নয়; কত যত্নে তাদের শরীরের মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে,
তারা খুশি হয়েছিলো
বোকারা বুঝতে পারেনি ওটা রেডিয়েশন টেস্ট ছিলো
ধ্বংসের পরে আবার টেস্ট করে মিলিয়ে দেখার জন্য।
তারপর প্রশান্তের বুকে হাইড্রোজেন বোমার ধ্বংসক্ষমতার পরীক্ষা
স্বর্গ পরিণত হয় নরকে; মানুষেরা গিনিপিগে
ক্যান্সার, ক্যান্সার, ক্যান্সার প্রজন্মের পরে প্রজন্ম জুড়ে।
দেখতে চেয়েছিলে, রেডিয়শেনে কতটা জ্বলে জীবন, কতটা জ্বলে জিন
দেখেছো, বিশ্ব? দেখেছো, মানবাধিকারওয়ালা?
পরমানু বোমা নিয়ে কতকিছু
মানবাধিকারের পান্ডারা এখনো গলা ফাটায়
এখানে মানবাধিকার এসে ডুবে যায় প্রশান্ত মহাসাগরের জলে।
সাগরবক্ষে বোমার আঘাতের গর্তে ঠিকই এঁটে যায় জাতিসংঘ
অন্ধকারে।
বাজার বড়ো দামী। বিকিনির বোমা নিয়ে বিশ্ব যখন তোলপাড়
তখন অন্যপ্রান্তে ফ্যাশন ডিজাইনার নারীদেহের সৌন্দর্য নিয়ে চিন্তায় মগ্ন
আবিষ্কার করে ফেলে এক সুইম স্যুট
বিকিনি দ্বীপের নামে নাম হয়– বিকিনি।
প্রশান্ত, আটলান্টিকের সমুদ্র তীরে হাজার বিকিনির মেলা
আর প্রশান্তের বুকে এক নিসঙ্গ, ছেঁড়াখোড়া বিকিনি।
আলো আর অন্ধকারের যুগপৎ খেলা একই নামে।
ফক্কা
কিছুই হয়তো হয় না
তবু, হচ্ছে হবে করে এই যে দিনপাত
সেটা তো হয়।
সময় কাটানোও কম কথা নয়।
হাতের আঙ্গুলে ভর দিয়ে পুরো শরীরটা উপরে তুলে ধরার
কসরৎ যাকে করতে হয়
তার কিছু স্মৃতি থাকে
দিনশেষে ’কী পাগলামী করেছি!’ বলে হাসে
অথবা খুব কৃতিত্ব নিয়ে বলে, ‘জানিস একদিন কতকিছু. . .’
কথা শেষ হয় না
মাথার মধ্যে ঘোরে ‘কিছুই কিছু না’; ’কতকিছু’ তো নয়ই।
বয়স হয়েছে যে
সময় কেটে যাওয়ার পরে খুব মনে হয়
সময় কাটানোই আসলে কাজ
আর কিছু করার ছিলো না।
আসলে কিছুই করার থাকে না
শুধুই শুধুই ভাবা, এটা ওটা কতকিছু
আসলে কিছুই কিছু না– ফক্কা।
দুঃখকে পিঁড়ি দিতে নেই
দুঃখকে পিঁড়ি পেতে বসাতে নেই
অন্তরীণ দুঃখ অন্তর্লীন হয়
আস্তে আস্তে গ্রাস করে সমগ্রতাকে।
তুমি ভাবো, দুঃখকে রেখেছি খাঁচায় পুরে
মরে যাবে সময়ের সাথে।
সে তার পিঁড়িকে পাটি করে;
টেনেটুনে খাঁচার আকার বাড়ায়
তারপর একদিন সারা অস্তিত্ব জুড়ে অন্ধকারের নাচন।
চিররূদ্ধ দ্বারে আলোর প্রবেশ-প্রচেষ্টা নিষ্ফল
অতঃপর অন্ধকারের সাথে অন্তহীন বসবাস।
দুঃখকে তাই চোখের জলে হলেও ধুয়ে ফেলা ভালো
তাকে বুকের মাঝে জায়গা দিতে নেই।
সম্মিলনক্ষণ অধরাই থাক
রাত্রির গভীরতা আর প্রভাতের স্নিগ্ধতা
এই দু’য়ের নৈকট্য আছে; তবু ফারাক কিছুটা থাকে
কেউ উৎরে যায়; কেউ খাবি খায় সেই ফারাকের ফেরে
সম্মিলনক্ষণটা ভীষণই ঝাপসা;
ভীষণই অধরা; খুঁজতে গেলে খাবি খাওয়াই সার
ফলত ধুঁকতে ধুঁকতে পার হয়ে যায়
‘নিকষেতে উঠলো ফুটে আলোর রেখাখানি’
অতঃপর নির্জন রাত জনাকীর্ন উজ্জ্বল দিনে।
তারচেয়ে চোখ বন্ধ থাক, মন অসাড় থাক
অন্ধকার আর আলোর সন্ধিক্ষণে।
সম্মিলন তো হচ্ছে, ক্ষণটা অধরাই থাক না হয়।
চোখের আড়ালেই ঘটুক তাৎপর্যময় নিত্যকার পরিবর্তন
আর অন্ধকারে বোজা চোখের পাতা খুলেই
চোখে পড়ুক প্রভাত-সূর্যের মায়াবী রশ্মি।
সূচনা হোক ক্রমজাজ্বল্যমান নতুন দিনের।
বোঝো না কেনো?
মাত্র তো দু’দিন ঢাকার বাইরে
তাতেই চরিদিকে রাষ্ট্র করে জানান দিতে হয়, ‘ফিরে এসো …?’
ফিরে তো আসবোই, এতো অস্থির হতে হয়?
লোকে কী ভাবলো, বলো তো!
আয়ানের চোখ শকুনের চোখ; সে সব দেখে
যতটা দেখে তার চেয়ে বেশি বোঝে, তুমি বোঝো না?
যাবোটা কোথায়? ফিরবো …
আয়ানের পাশে থেকে কৃষ্ণের অপেক্ষা
সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে বিকেলবেলা।
অস্থিরতা ভালো; রাষ্ট্র করা ভালো না
আড়ালটুকুই স্বস্তি আমার; আড়ালটুকুরই উদ্ যাপন
এটুকু তো বুঝবে এই বয়সে।
প্রকাশ্যে আর লিখো না, ‘ফিরে এসো’।
আমি তোমার কাছেই আছি – আয়ানের ঘরে বা একশো মাইল দূরে।
যাইনি কোথাও; ফিরবো কোথায়?