
পরিযায়ী সারস এক
আমাকে সাথে নিও
শুভ্রমেঘ সুদূরে ডাকে যদি আর
প্রতীক্ষায় থাকে পথ। চাও যদি
কাশফুলের শুভ্রতার দোলায়
দোলাতে মন। নতুবা
যদি ভাবো ভাসবে ভেলায়
কৈশোরের বিলে…
আমাকে সাথে নিও বন্ধু তোমার!
হরিতের ঘ্রাণ
প্রিয়া পেরেশান
বলি নেকাব সরিয়ে মুখে
কমলা রোদ মেখে বসো।
দেখো, আকাশে বিচিত্র রঙ আর
এখানে অনেক সবুজ,
নিঃশ্বাসে নাও হরিতের ঘ্রাণ।
সূর্যের আলো থেকে পৃথিবী
এখনই সরে যাবে অন্ধকারের দিকে
রজনী ছড়াবে রঙ নগরে নগরে।
আমরা তখন অন্ধকার সরিয়ে
বনশ্রীর জ্যোৎস্নায় যাব
অবিরাম হেঁটে যাব নক্ষত্রের পথে….
অপ্রকৃতিস্থ
প্রকৃতির প্রাণে প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠায়
অপ্রকৃতিস্থ মানব, কার্যত
নিজেকে ধ্বংসের আয়োজন
সেরে ফেলি কী নিখুঁতভাবে!
লোভ ও আধিপত্য বিস্তারের নেশায়
ক্রমোন্মত্ত ভ্রমপথে,
এক গভীর অন্ধকারের দিকে
ক্রমাগত হেঁটে যাই…
পরিযায়ী সারস এক
স্বপ্নের ক্যানভাসে আঁকি
সোনালী রোদ, ওড়াই সেখানে
শান্তির পায়রা,
ওড়াই ফ্যানট্যাসি মেঘের ডানায়।
মেঘে মেঘে অনেক বেলা যায়
ফিরে দেখি, ফেলানির আঙুলের
নখপালিশের রক্তরঙ লেগে আছে
কাঁটাতারে মৃত্তিকায়
তবুও আমরা বাঁচি অকারণে!
অন্ধকার গাঢ় হলে
পরিযায়ী সারস এক
হিম নিয়ে আসে
হৃৎপিণ্ডের দরজায়।
তারপর নিস্তব্ধতা নামে
তখন কোথা থেকে
রক্তক্ষরণের অবিরাম শব্দ
নেমে আসে কানে।