
পরদেশে পরবাসী ॥ পর্ব ১০
সে ভাত-তরকারি গরম করার কাজে মনোযোগী হয়ে উঠল। মুখরোচক কিছু-একটা ভাজাভুজি করে আমাকে খুশি করতে চায়। আর আমি তার আলু ছুলাই কথাটি নিয়ে ভাবতে বসি। চিন্তার দ্বার খুলে গেল। চলে গেলাম আমার প্রিয় বন্ধুপত্নীর কাছে। কাচা কাঠের ধোঁয়া, ঝাপসা অন্ধকার—বৌদি বটি দিয়ে মাছ কোটছে; এলোমেলো চুল, লাল মুখ, চোখে জল—আঁচলেও বাসি অশ্রু। একের-পর-এক বৌদির ছবি চোখে ভেসে উঠতে থাকে।
বৌদি বধূ সেজে আমার প্রিয়বন্ধু আনোয়ারের বাড়িতে উঠে আসার পরই আমাদের পরিচয় হয়। সেও এক বিচিত্র ব্যাপার। তাদের গ্রামের বাড়িতেই প্রথম দেখা। ঠিক দেখা নয়, দেখানোর চেষ্টা। আমার বন্ধুপত্নীটি রাজি ছিল না। অবশেষে তার স্বামী জোর করে ধরে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়ে দেয় আমার সামনে। ও-যে নববধূর লজ্জায় মাথা নত করেছিল, চুল টেনেও সেই মাথাটি আনোয়ার সোজা করতে পারেনি। ভাবতেই অবাক লাগে, এই মেয়ে একদিন আমার সামনে বসে মুচকি হেসে চোখ টিপে টিপ্পনি কাটতে সংকোচবোধ করেনি। কত আত্মবিশ্বাস তার!
কল্পনাকে দুহাতে ঠেলে যত দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছি, ততই বৌদি যেন আমাকে ব্যাকুলভাবে কাছে টানতে থাকে। এই টানে স্বার্থের আহ্বান ছিল কিনা তা জানি না। তবে আমি যখন লন্ডন আসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি, তখন একদিন বৌদি বলে, লন্ডন গিয়ে কি কাজ করবে শুনি?
তার কণ্ঠে অভিমানের রেশ।
বিষণ্ণ কণ্ঠে উত্তর দিই, আলু ছুলাব।
বৌদি বলল, তাহলে ওখানে বসে কেন? কাছে এসো।
গাছের ডালে বসা একটি দাড়কাক কা-কা করে ওঠে, আরেকটি উড়ে যায় রান্নাঘরের ওপর দিয়ে। কাকের উড়াল আমার কপালে কি অমঙ্গল ডেকে আনবে—বৌদি ভেবে পায়নি, তবে চুলোর আগুন কেমন যেন প্রসন্ন হয়ে ওঠে। শুধু আগুন নয়, কাঠপোড়ার শব্দগুলোও নূতনকে আহ্বান জানাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। বলি, কেন?
কেন শব্দটির মধ্যেই যেন অন্বেষণ করতে থাকি রান্নাঘরের এককোণে বসা বৌদির বালা-শাড়ির সৌন্দর্যে বিলিয়ে দেওয়া জীবনটিকে। হঠাৎ একদিন পাখা মেলে উড়ে যাব—অনেক দূর, অজানা দেশে; সেখানে কৌমুদীময় রাতের স্নিগ্ধ আলোর কোনও সন্ধান হয়তো-বা পাব না; সেখানে হয়তো-বা শুধুই অন্ধকার বিরাজ করবে; তবে এও সত্য, যেখানে বৌদির হাসির শব্দগুলো শোনা যাবে না। সেখানে কি করে বেঁচে থাকব বৌদির হাসির শব্দগুলো ছাড়া? বাঁকাচোখে তাকিয়ে থাকে বৌদি। নিশ্চুপ। নিঃশব্দে কালো চোরকাঁটাগুলো শাড়ির পাড়ে কেমন যেন আর্তনাদ করছে। আমার অন্তরে ভীষণ উসখুস। মনের মতো জগৎ গড়ার সন্ধান করতে থাকি, সাদা-কালো-লাল রঙের শাড়ির ভাঁজে-অভাঁজে।
সব শিখিয়ে দেবো …। বাক্যটি আর শেষ হলো না। এ কী স্বপ্ন না বাস্তবতা, আমার কাছে বোঝাই মুশকিল। একঝাঁক কোকিল যেন মহানন্দে কুহুকুহুধ্বনি তোলে আমার কানে। বলি, আহা, সব দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ না করাই ভালো বৌদি, শেষে পস্তাবে।
বৌদির গালদুটো ফাগমাখা হয়ে ওঠে। যেন অমাবস্যা পা পিছলে আগ্নেয়গিরির মধ্যে গিয়ে পড়েছে। সতেজ পাতার মৃদুমন্দ কাঁপুনি, উন্মোচিত ফুলের সৌরভ, বঙ্কিম চাঁদের আহ্বান—
সবমিলে উৎফুল্ল একটি উৎসবের সমাবেশ; বৌদি মৃদুহাসি মুখে টেনে বলে, হায়রে আমার কপাল!
বৌদি কিছুক্ষণ অসমাপ্ত কবিতার হিজিবিজি অক্ষরে কলম থেমে থাকার মতো ভঙ্গিতে বসে থাকে। বিষণ্ণ এক বটবৃক্ষ যেন। তার চেহারায় অস্বস্তিও। বৌদির অস্বস্তি দূর করার জন্য বলি, আলুর খোসা ছাড়ানোর কাজে যে-বেতন পাব তা তো আর এখানে বসে পাব না।
সংশয়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বৌদির শান্তসুন্দর চোখদুটো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। স্বাভাবিক অবস্থায় বৌদি ফিরে এসেছে দেখে খুশি হই। বৌদির শ্বাসপ্রশ্বাস বইতে শুরু করে আগের মতো। স্বচ্ছন্দ। অনাবিল। গভীর রহস্যময়ী মেঘঢাকা চাঁদের অপরূপ মন-জয়-করা ছবি যেন তার ভঙ্গিতে প্রকাশ পায়। এতে চৈত্ররোদের দ্বিপ্রহরের তাপ নেই, শুধু শিল্পীর তুলিতে ও রঙে আঁকা এক ঝলসিত প্রতিমা যেন।
বৌদি এক অদ্ভুত প্রকৃতির মানুষ। শুধু কী তাই! পশ্চিম পাকিস্তানে থাকাকালীন একটি ঘটনা। রাত্রি। এগারোটা। এসে উপস্থিত হই বৌদির মৌরিপুরের বাসায়। এই ধারণায় যে, আনোয়ার বাসায়ই থাকবে। কিন্তু না, সে সেদিন বাসায় নেই। এই খবরটাও বৌদি দিলো না রাত বারোটার আগে।
আমার এক প্রশ্নের উত্তরে সে বলল, বন্ধুর জন্য এত অস্থির কেন? আমাকে দিয়ে বুঝি তার কিছুটা অভাব পূরণ করা যায় না!
কথা শুনে চমকে উঠি। লক্ষ করি, তার কণ্ঠস্বর স্পষ্ট, কোনও জড়তা নেই। কেমন সাহসী কথা। তবে বৌদি হয়তো ভেবেছিল, সে যদি আসল কথাটি আমাকে বলে দেয় তাহলে এতরাতে কোথায় গিয়ে উঠব। কোথায় খাব। সে চুপটি মেরে হাসিমুখে খাইয়েদাইয়ে তার ঘরের অপর বিছানাটি দেখিয়ে বলে, এই খাটে শুয়ে পড়ো। অন্যঘরে দিচ্ছি না; ও এসে যেন তোমাকে দেখতে পায়। তোমাদের হরিহর আত্মা কিনা! তবে ওর নাইট ডিউটি আছে, রাতে নাও ফিরতে পারে।
বৌদির কথা শুনে একেবারে ‘থ’! মনে মনে বলি, তার কাছে নিজেকে ছোটো করতে পারি না। বিস্ময় প্রকাশ না করেই পরিস্থিতি সহজ করার চেষ্টা করি। কাছাকাছি বিছানায় শুয়ে গল্প করতে করতে একসময় দুজনই ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন জানতে পারি, অপর দুটো ঘরে পূর্ব-বাংলা থেকে আগত অসহায় একটা পরিবারকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে এই নারীটি; কারণ, সেই লোকগুলো বিনা অনুমতিতে পরিবার নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে আসায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার খ্যাপেছে। বৌদি স্লেহশীল। অতিথি পরায়ণ।
বিনা অনুমতিতে পরিবার নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে আসায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসারও খ্যাপেছিল আমার ওপর। দুই বছর পর পর, দুই মাসের ছুটি দেওয়া হতো পূর্ব-বাংলার সামরিক কর্মচারীদের, ফ্রি-প্যাসেজের অজুহাতে। দুই মাসের ছুটি পেয়ে কাঁঠাল পাকানো গরমে (উনিশশত সাতান্ন) বাড়ি পৌঁছি। রসনায় জল-আনা ফল কাঁঠাল। পশ্চিম পাকিস্তানে এই ফল সহজে চোখে পড়ে না। পাকা কাঁঠালের গন্ধে বাংলার বাতাস হয় মোহিত; গাভী হয় মাতাল, ভুতুড়ি খাওয়ার জন্য; বালক-বালিকা মাতোয়ারা হয় মায়ের হাতে তৈরি পিঠা খাওয়ার জন্য, কাঁঠাল দিয়ে।
বাংলা সনের প্রতিটি মাসের বৈশিষ্ট্য বিচিত্ররকম। বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যেমন, বৈশাখ শিক্ষা দেয় পুরানো জীর্ণতাকে ভেঙে নূতনকে গ্রহণ করা। বাবুই পাখির বাসা যেমনি ঝড়তুফানে টিকে থাকে তেমনি টিকসই সর্বজনীন আর্থসামাজিকব্যবস্থা কায়েমের প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয় তরুণমন—জ্যৈষ্ঠের কাঁঠাল খেয়ে তারা শক্তিশালী হয় নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন আমাকেও হতে হয়েছিল, উনিশশত সাতান্ন খ্রিষ্টাব্দে।
স্ত্রীর আবদার—তোমার সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যেতে হবে পশ্চিম পাকিস্তানে।
যতই অসুবিধের কথা তোলে ধরি, ততই একই কথা—তুমি যেখানে এবং যেইভাবে থাকো, আমি কেন তোমার সঙ্গে সেইভাবে থাকতে পারব না?
সস্তা উপন্যাস পড়ে ও মাতামহীর উপদেশ কানে বেঁধে শিখেছে কতক গৎবাঁধা বুলি—স্বামীর চরণে স্ত্রীর স্থান। স্বামীর পদতলে স্ত্রীর বেহেশত। সেই শ্রীচরণে কাঁটা বিঁধলে তা দাঁত দিয়ে উপড়ে ফেলতে হয়, তা দেওয়াই সতীসাধ্বীর সাধনাব্রত। তাই তো সর্বত্র স্বামীর সঙ্গলাভ স্ত্রীর ঐকান্তিক কামনা। কিন্তু স্ত্রীজাতি প্রায়ই ভুলে যায় যে, একজন স্ত্রী জীবিত থাকতে পুরুষ আরও তিন-তিনটে বিয়ে করে, আর অল্পবয়সী স্ত্রী যদি বিধবা হয় তাহলে তাকে হতে হবে দেবীসতী; না হলে রক্ষে নেই পুরুষসমাজে। এই সমস্ত পুরুষের তৈরি নিয়মের প্রতিবাদ কি নারীসমাজ করে? করলে তো মঙ্গল-উৎসবে তাদেরই ডাক পড়ত। আর পুরুষদের লেখনিতে প্রকাশ পেত না, “যে-দেশে নারী হাসিতে হাসিতে চিতায় বসিত, স্বামীর পাদপদ্ম ক্রোড়ে লইয়া প্রফুল্লমুখে নিজেকে ভস্মসাৎ করিত।” পুরুষসমাজ সমস্ত স্ত্রীজাতিকে করেছে অসম—সন্দেহ নেই।
আমার স্ত্রীকে বাধা দেওয়ার শেষ চেষ্টা করি। বলি, মাইজি (মাতুঃ) কি রাজি হবেন?
তা আমার ওপর ছেড়ে দাও।
ও মুচকি হেসে চলে যায় রান্নাঘরে। বোঝে নিই, শাশুড়ির দিক আগেই সামলে নিয়েছে।
রাতের খাবার শেষে যখন খোশগল্প চলছে, তখন মাইজিই বললেন, হ্যাঁ বাবা, বউমাকে এবার সঙ্গে করে নিয়ে যাও। দুই বছর পর, এনে দিয়ো আমার কাছে।
দুই বছরে তোমার অনেক কষ্ট হবে, তা কি ভেবে দেখেছ?
হ্যাঁ দেখেছি। ঝি আছে, তোমার বোনরা আছে। তারা সকল ভার স্বচ্ছন্দে বইতে পারবে। আমার কোনও কষ্ট হবে না। তুমি আমার জন্য মোটেই চিন্তা করো না। তারপর মাইজি অকস্মাৎ ব্যাকুলা হয়ে যোগ করলেন, আমার কথা শোনো, তাতে তোমাদের মঙ্গলই হবে।
বুঝতে পারি, নাতি পাওয়ার জন্য তাঁর কত সাধ-আহলাদ। একইসঙ্গে আমিও জানি, পশ্চিম পাকিস্তানে গেলে কত অসুবিধেয় পড়তে হবে। রাত্রিতে স্ত্রীকে আবারও বোঝানোর চেষ্টা করি। বলি, দেখো শিরীণ, অযৌক্তিক আবদার করো না লক্ষ্মীটি।
এলোমেলো পিঠের ওপর ছড়ানো কালো চুলে হাত বোলাতে বোলাতে যোগ করি, তুমি আমার কাছে থাকলে আমার যে কী পরিমাণ আনন্দ হয়, তা তো তুমি জানো। পরস্পরকে না পাওয়ার অভাবটা কি কম? অবিশ্যি নয়; তবে বর্তমানে তোমাকে নিয়ে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অযথা বিপদ ডেকে আনব। পূর্ব অনুমতি ছাড়া তোমাকে নিয়ে গেলে এয়ারপ্যাসেজ দেবে না, যদিও এয়ারফোর্সের পরিবহন ডেকোটা নিয়মিত অর্ধেক খালি যায়, ঢাকা থেকে লাহোরে। তাছাড়া একান্তই তোমাকে নিয়ে যেতে হলে যেতে হবে জাহাজে। বর্ষাকাল, উথালপাথাল সমুদ্র। কত যে কষ্ট হবে জানো? পড়নি শরৎবাবুর সমুদ্রযাত্রার কাহিনি? আগামীতে অনুমতিসহ এসে তোমাকে নিয়ে যাব।
শিরীণের মুখ গম্ভীর। কিছুক্ষণ স্তব্ধ থেকে বলল, তুমি আমার অবস্থা একেবারেই বোঝো না?
কীসের অবস্থা?
কোনও উত্তর ও দেয়নি সেই রাত্রি। কয়েকদিন শিরীণ এরকম গুম হয়ে থাকে। তার গুম হয়ে থাকাটাই সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার। যার মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি আর ঠোঁটের আগায় কৌতুক, সে যখন দিনের-পর-দিন গুম হয়ে থাকে, মুখকে কৃষ্ণকালো করে রাখে, নিতান্ত দরকার ছাড়া কোনও কথাই বলে না, মনের আগুনে নিজের অন্তর পুড়ছে, তখন ওর স্বামীর পক্ষে ব্যাপারটা কত মারাত্মক হতে পারে তা শুধু আমার মতো যে-স্বামী এই অবস্থায় পড়েছে সে-ই বুঝতে পারে। খোলাখুলি কোনও বোঝাপড়ার প্রশ্ন তুললেই ও এমন ব্যবহার শুরু করে, যেন আমার ওসবে বয়ে গেছে।
এক রাতে অনেক চেষ্টার পর, বলি, আমারই ভুল। এখন আমাকে খুলে বলো তোমার বর্তমান অবস্থা কী?
কীসের! ও সে-ই কথা! থাক! তাছাড়া তুমি তো ঠিকই বলেছ। আমি সঙ্গে থাকলে তোমার অনেক অসুবিধে হবে। তা একদম খাঁটি কথা।
অভিমানের সুরে ও আমাকে এমন গলাধাক্কা দিলো যেন আমি না-বালক; মান-অভিমান কিছুই বুঝি না। বোঝার ক্ষমতা আমার নেই। কথাগুলো এমনভাবে বলল, তার চোখেমুখের অতিপরিচিত হাসিটুকুও দৃষ্টিপাত হলো না। ওর মুখের কালচে ভাবটা দূর করার জন্য আমাকে যে কী মমার্ন্তিক চেষ্টা করতে হলো তা ভাবলে এখনও অন্তরাত্মা শিউরে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ও বলল, আমার শরীর ভালো যাচ্ছে না। তুমি আসার কিছু দিন পরই মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে।
ভালো কথা। এমন সংবাদে উভয় মা-ই খুব থুশি হবেন।
কাউকে কিছুই বলবে না।
তুমি জানো না, মাইজি তার মামিকে প্রায়ই বলেন, তুমি বন্ধ্যা। আর তাই হয়তো সেদিন মাইজির মামি আমাকে আরেকটা বিয়ে করার জন্য বলেছিলেন।
উৎসুক হয়ে শিরীণ জিজ্ঞেস করল, উত্তরে তুমি কি বললে?
বলেছিলাম. আরেকটা বিয়ে করার সময় কোথায়, সময় হলে করব। আর এখন যেহেতু তুমি গর্ভবতী তখন তাকে বলতে পারি, একটা যুবতি এনে দিতে যাতে …।
যাও, তোমার কোনও লজ্জাশরম নেই।
শিরীণ যে খুশি হয়েছে, তার প্রমাণ, ওর ডান থেকে বাঁ কান পর্যন্ত সারামুখে তৃপ্তির হাসির ঢেউ। আর বিকশিত বুকের ওপর আঁচল টানার দৃশ্যটি।
চলবে…