
পতিত প্রণয়
কিছু ছবি, কিছু কথা
চকচকে ধারালো এক ছুরি
ফলায় গেথে নিচ্ছে অনিন্দ্য সুন্দর আপেল রঙ সকাল
সাঁই সাঁই ছুটে চলেছে মহল্লার কোলাহলে
ছাদ থেকে কে একজন হাঁক দেয়―
এই জঘন্য শেয়ালের দল, ছেড়ে দে অচল মানুষের হাত
কানের পাশ দিয়ে ক’জন কাঙাল অলস ভেসে যায়
ভাপ ওঠা ভাতের গন্ধ শুঁকে শুঁকে।
তুফান মেইল ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলে যায়
বুকের পাঁজরে নিদারুণ শ্বাসকষ্ট
একমাত্র নিজ ছায়া সঙ্গী থাকে―প্রভুভক্ত প্রাণি
লেজকাটা শেয়ালের দল চলে যায় মাংস, মজ্জা খেয়ে।
নিহিত ভাবনা
জীবন এক আশ্চর্য মিথ―
এবসার্ডকে ধরতে মহাকালের পাতায় আঁকা সহস্র মুণ্ডু
পুড়ে পুড়ে খাক হয় হাইড্রোকার্বন।
চাই নতুন ক্রমশ―
নতুন সন্ধানের অলীক এ-জীবন চ্যাপ্টা হয় ঘসেটি বেগমের শিলপাটায়
তথাপি অটল থাকে ফুঁরে ওঠা মূলনীতির অদ্রিশিখর।
যদি নাজিল হয় অলৌকিক পয়ার―
ভ্রুক্ষেপ নেই কোনো―
হতে পারে উত্তম, অথবা অধম
দিগন্তজোড়া ভালোবাসার অসীম টঙ্কার অথবা শূন্যতা কখনও।
পতিত প্রণয়
পতিত প্রণয় এক শুষ্ক কাঠ
ভীষণ কালের কুঠার
সজোরে হামলে পড়ে চেলা কাঠে
আশ্চর্য সিসিম ফাঁক―
ফালা ফালা কাব্য দেহ গড়ে―
নিদারুণ কোপাকুপি খেলা
দুই খণ্ড, দুই ভাগ―
গড়িয়ে গড়িয়ে দু’টি নদী হয়ে যায়―
পাটুরিয়া দৌলতদিয়ার জলের শরীরে
যেমন ভাগ হয় পদ্মা যমুনা;
নিরুত্তাপ সময় প্রবাহ―
দু’জনে আর কথা হয় না!
বিরল সাক্ষাৎ
পথ চলতে কতো মানুষের সাথে দেখা হয়;
হঠাৎ নিজের সাথেই দেখা হয়ে গেল আজ!
প্রথমে চিনতে পারিনি আমি,
কী অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার ইদানিং।
চন্দ্রকলা জড়ায়ে যায় বিভ্রান্তির জ্বালে
ফেটে চৌচির, ফালাফালা নিবিড় নীলিমা
চেনা অচেনার দ্বন্দ্ব ভাসে গোপন দর্পণে।
আইতে চাই নাই
জবর আরামের ওম ছাইড়া
আইতে চাই নাই―
জোর কইরা হান্দাইয়া দেওয়া হইছে
এই বিরাট গনগনে মাইটা চুলার আগুনে
বহুত চিক্কুর দিলেও রেহাই মিলে নাই
ভয়ঙ্কর ঈগলের আড্ডি ভাঙা কঠিন থাবা থাইকা।
বহুত বাতচিত, হুতার পাছা দিয়া হুতা দেওয়ন দেইখ্যা
বহুত ঠাপাঠাপি দেইখ্যা―
বালে বালে গিট্টু দেওয়া পুলিটিস দেইখ্যা
নিজেই নিজেরে বনবাসে পাঠাইছি আগাগোড়া
এমুন কইরা নিজেরে বনবাসে পাঠানোর কামডা পিথিমীর ব্যক্কের সেরা
হামুকের লাহান নিজের খোলসের ভিতরে বন্দী থাকন বহুত সৈন্দজ্জ।
আইবার কাল থাইকাই আছিলো যাইবার তোড়জোড়
তবু কথার মইধ্যে কথা হইলো চাঁন মিয়া―
যাইবারকালে পিছন ফিররা তাকাইলেই―
কই জানি একটা কড়া মোচড় লাগে,
ভিতরে ভিতরে কই জানি একটা প্যাথেটিক টান লাগে।