
নিরাসক্তি
নিরাসক্তি
হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মানুষ; আর ফেরে না
আমি এলিয়েনে বিশ্বাস করি। তারা
ভিনগ্রহ থেকে আসে
রাস্তার পাশে, জলাশয়ে, খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকে
অজ্ঞাত-পরিচয় মানুষের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ
আমি ভূতপ্রেত ও ডাইনীতে
বিশ্বাস করি; ওরা আছে
না থাকলে, এতসব ঘটছে কী করে!
রূপকথা
পুস্প, পরী ও ডানার গল্প থেকে
খসে পড়ছে
রূপকথা
প্রজাপতিডানা কম্পনহীন, পড়ে আছে;
পাপড়িগুলো—পড়ে আছে
অসম্ভব বাগানের উপর দিয়ে
ঝাঁকবদ্ধ আমরা ভেসে যাচ্ছি
রাত্রি ও তার অন্ধকার পোশাকের দিকে—
কয়েকটা উন্মত্ত-হিংস্র ঘেউঘেউ
তাড়াতে তাড়াতে
গাছে তুলছে কোটি কোটি বিড়ালকে
স্মারক
নির্জনে স্থাপিত পাথর
গান গায়—
একা
চায়—
তার পাশে
আরও আরও
পাথরের সংস্থাপন হোক!
আমাদের সমাধিপাথর নাই
পাথরের রীতি নাই
খেজুরের ডাল পুঁতে
বিনাবাক্যে বুঝিয়ে দিচ্ছি:
সদ্য কবর—
মোহনগঞ্জের ট্রেন
এই ট্রেন স্বয়ংক্রিয়, জাদুবাস্তবতা—
তুমি চাইলে, রীতি ভেঙেও আসবে মধ্যরাতে,
মেঘের উপর দিয়ে এঁকেবেঁকে আমরা যাবো নক্ষত্র পাড়াতে
**
উড়ুউড়ু, উদাসীন, স্বপ্নবাস্তব মহাযান—
সবার অলক্ষে এসে দাঁড়াচ্ছে স্টেশনে,
ফিসফাস ডাক দিচ্ছে, ‘কে কে যাবে গিরিপদ্মবনে’?
***
একই ট্রেনে, অভিন্ন কামরায়,
ঝমঝম, দুই যাত্রী পৃথক গন্তব্যে পৌঁছে যাই—
এমন অনন্য ট্রেন ত্রিভুবনে অন্য রুটে নাই
****
অনির্ধারিত ট্রেন, কৈশোরের পথে ছুটে যায়—
কাঁচাপাকা চুল নিয়ে, আমরা দু’জনে শুই: বিপরীত যানে;
আমাদের চুল পোড়ে কেওয়াটখালির রাতে, স্তব্ধ-শ্মশানে…
*****
আসমান থেকে নেমে মোহনগঞ্জের ট্রেন মহাশূন্যে যায়—
মরিচার মতো লাল, স্লো-মোশানের দৃশ্যে, বোরাকের প্রায়।
ভ্রমণমুহূর্তে
অস্ত্র কোনও কাজে লাগবে না—
তবু চলো, দামি দামি অস্ত্রশস্ত্র কিনি
মুদ্রা নেই? হলে হোক আরও কিছু দেনা
অদরকারি অস্ত্র হাতে পথেপ্রান্তে ঘুরি
ঘুরে ঘুরে দেখা চাই: শাড়ির আসমান—
দুইজোড়া হাত; তাতে কত রেশমি চুড়ি
শব্দ তো হচ্ছে না মিহি! নেই রিনিঝিনি
বরং উন্মত্ত চুড়ি হয়ে উঠছে—মহাকাশযান