
নাজমুস সামস’র একগুচ্ছ কবিতা
কান্না
কান্নাপ্রুফ কোনো সফটওয়্যার আছে কি?
থাকলে ব্যবহার করতাম, আর কান্নারা পালিয়ে যেত
কমলা রানীর দিঘীর কাছে।
দুচোখে সুরমা লাগাতাম, তবুও কমলা রানীর দুঃখে
জল আসত না চোখে চারিদিকে এতো যে দুঃখ
তা দেখে কান্না আসত না চোখে বরং আরো বেশি
শক্তিশালী হতো মন। তোমাকে আমাকে কান্নাই সহজ করে তোলে
সবাই ভাবে কি দূর্বল মন
আসলে আমরা কান্নার সফটওয়্যার ব্যবহার করে, শক্তি জাগাতে পারি মনে
জোনাক পোকা
ভয় নেই তোমাকে শেখাব
আসমান সিং এর রন কৌশল
যাতে তুমি সহজেই শত্রুদের
কচু কাটা করতে পারো।
তোমাকে আফ্রোদিতি বানিয়ে দেবো
যাতে তুমি কমলা রানী হয়ে যেতে পারো
একদিন সারস তার সোরাই
থেকে তোমাকে খাওয়ার লাইসেন্স দিয়ে ছিল
খাওয়ার কম থাকলে সারস বসবে তোমার পাশে
আর তুমি জোনাক পোঁকা হয়ে যাবে
তুমি
তোমার জন্য হয়ে যাবো ছবি খা
সুই দিয়ে ব্রেনে আঁকব নকশীকাঁথা
তুমি বললেই আমি অর্জুন গাছ হয়ে যাব।
হেকিমেরা বানাবে ঔষধ। প্যানাসিয়া
সেই ঔষধ খেয়ে দুজনে ঘুরব প্যাডেল রিক্সায়
বৃষ্টি এলে ঝম ঝমিয়ে দেখব চন্দ্রদ্বীপ
ভালোবাসি
আলো আসবে আলো বলেছিল গুনাইবিবি
তার সাথে সর্ম্পক ছিল পুকুরের, পুকুরে স্নান করার পর
যে খোঁপায় পদ্ম ফুল ফুটত
তার অনারে মেঘ দিত ছায়া
পাখি উঠত গান গেয়ে, গাছেরা বৃষ্টি ঝরাত
সময়ের আঙ্গিনায়, আর তুমি বলতে ভালোবাসি।
কমলারানী
আমাদের কমলারানী বারবার শাড়ি পাল্টায়
দৃশ্যের পর দৃশ্য শুরু হয়। সবাই ভাবে এটা বুঝি
শ্রীকৃষ্ণের কাজ। কৃষ্ণই ওকে জমিয়ে রেখেছে
আসলে কমলারানী একজন মানবিক মানুষ
যে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে ছিল অনেক অনেক জীবন
শিউলী মালা
আমাদের দেখা হয়েছিল অক্সফোর্ড মিশন স্কুলে
তুমি লিখে ছিলে অনুসূয়া + অনিক
আমি তোমার চিঠির ভূগোলে দেখতে পেয়েছিলাম
সুয়েজ খাল যা কিনা গাবখান নদী হয়ে গড়ে তুলে ছিল শিউলীতলা।
তুমি তো শিউলী ফুল পছন্দ কর তাই আমি মালা গাঁথার জন্য
ডিপফ্রিজে শিউলী ফুল তুলে রেখেছি।
যদি তুমি আসো তাহলে বারো মাস ফুটবে শিউলী বসন্ত বাতাসে