
দূর শালবন
বিষমধু
অনেক কিছুই হতে চাইতাম
কিছুই হতে না পারার যন্ত্রণা এখন
আমাকে কুরে কুরে খায়
পাখি হতে চাইতাম শৈশবে
যেন বিলিয়ে দিতে পারি গান
যদিও কৈশরে কাটা পড়েছে ডানা
ভেতরে তাই উড়নচন্ডি স্বভাব
হতে চাইতাম সাদাকালো কোনো মাছ
আনন্দে গাঁথুক কেউ বড়শি শিকার
আহ..
এখন আমার একটাই পথ
বিষ গ্রহণ করে… করে
মধু বিলানোর শফত
তাহলে কি হতে চেয়েছিলাম গাছ?
কিন্তু দাঁড়িয়ে আছি নিজের ছায়ায়
আমাকে ছেড়ে গেছে নির্দয় শিকড়!
সোনালু এপ্রিল
পেরিয়ে এলাম গনগনে এপ্রিল
সোনালু ফুলের গলা জড়িয়ে
দোল খাচ্ছে মে মাসের রোদ
উড়ে যাচ্ছে এক ক্ষুদার্থ শালিক
পকেটে আমার কেবলই
বৈশাখের পাকা ধান
মৃতের দেশে ভাঁড়ের বেশে
হেসে হেসে
কাটিয়ে দিচ্ছি দিব্যি জীবন!
দূর শালবন
এই যে পাশে বিছানায়
শুয়ে মাইলকে মাইল সময়
যেন আমি এক মহাসড়ক!
বুকে যার ঘুরছে অঢেল চাকা
কি কবো আর
নিজের দাঁতের গল্পে
যেভাবে ঢুকে গেছে নিমের মেসওয়াক
বমি বমি ভাবটা যদি বন্ধ হয় এবার
তুলশি পাতা চিবতে চিবতে
মধু আর কালোজিরা খাচ্ছি।
রোদে ঘেমে আছি দূরূহকাল
দূরে দেখা যায় সবুজ শালবন
তোমায় মনে পড়লে
তোমার কথা মনে পড়লে
ফলের দোকানে তাকাই
আপেল মুখস্ত করতে করতে
আঙুর চোখে পচন!
ভাত-গুলি
যে শ্রমিকরা গুলি খেয়ে মারা গেছে
তাদের সঙ্গে নিয়ে সেহেরি করছি
আমার ভাতগুলিও গুলির মতো লাগছে
ডাকাতের হাত
আপনি চুরি হয়ে গেছেন
ডাকাতের হাতে
আমাদের ধানগুলো চিটা
ক্ষুধার কী তাতে?
সিদ্ধ করতে পারেন টাকা
পেটও ভরতে তাতে
কেন তবে ভয় দেখান
জুলুমের পাতে
মৃত্যু গিলে বসে আছি
শাসনের ভাতে!
কবর বুকিং চলছে
কবর বুকিংয়ের দিনে
এসো ফুল চাষ করি
গোলামীর চেয়ে মৃত্যু
শ্রেয়, তার পায়ে ধরি