
তুই তুমি আপনি আমি
তুই তুমি আপনি আমি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা
তিনি ভালোবাসতেই পারেন!
আমি বলি-
আমার সোনার বাংলা
আমি আমায় ভালোবাসি
নিজেকে ভালোবাসতেই পারি!
প্রকৃত-
আমরা ভালোবাসা কি তাই জানি না!
নয়তো-
সোনার বাংলা এমন হতো না
সঙ্গে তুই তুমি আপনি আমি।
ওলট-পালট
সময় পলকেই বিগত। আগত হাহাকার বেহাগী সুর তুলে- জীবন এমন কেন? পরশীরা একে দুয়ে শয্যা পেতেছে মাটিতে। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। মাঝরাতের আয়না দেখায়- চুলে বয়সের রেখা। সে ঘর করে; দূর সীমারেখায়। ঘর বলে আমারও ঘর চাই। নগরীর ইট-কাঠ-পাথরের কূটচালে বেহিসেবি সংসার। সকরুণ সুর তোলে জীবন। ফুটপাতে বিছানো স্বপ্নের থালা। এরই মাঝে লাহুর তীরের ফসলে স্বপ্নের রঙ। মিশে যায় রঙ। ফিঁকে হয় মায়া। অনাগত কেউ কেউ বলে উঠে- আমিও মায়া। ভালোবাসার বৃত্তে পুরো ইহধাম। কেন্দ্রে বসে সে সকরুণ কিংবা মায়াময় ধ্বনি তোলে- বিধ্বস্ত লাগছে। পাতায় পাতায় ভরে যায় জীবন। আকাশের সীমানায় দাঁড়িয়ে সময় বলে- পৃথিবীটা পুঁতি-গন্ধময়। চালসে চোখ দেখে- মাটির ওলট-পালট। আলো নিভে যায়; ওলট-পালট।
কারণহীন
কারণহীন অজানা হাহাকার ওঠে
এখন রাতকে বড় বেশি কাছে ডাকি
জীবনের চাদর বিছিয়ে মরণ খুঁজি,
বেলা-অবেলার ডাক বড্ড বেশি বলে-
কিছুই করার নেই, কিছুই করতে পারনি।
কারণহীন অচেনা হাহাকার ওঠে
রাত বড় বেশি ভালোবাসা নিয়ে আসে
মরণের চাদর বিছিয়ে জীবন খুঁজি,
কালো-সাদা কেশ বড্ড বেশি সুর তোলে-
কিছুই করতে নেই, কিছুই করতে আসনি।
কারণহীন ভয়ার্ত হাহাকার ওঠে
দিন বড় বেশি আলো-আশা নিয়ে ভাসে
বরণের চাদর বিছিয়ে কী যেন খুঁজি,
আশা-নিরাশা বড্ড বেশি বেসুর বোলে-
কিছুই করার দিনে, কিছুই করতে চাওনি।
আহ্লাদ
অক্ষরে গুলি করতে ইচ্ছে করে, হয় না। অনভিজ্ঞতা, অযোগ্যতাও! ঘষামাজা চলছে। এভাবে পেরুলো অনেকটা সময়। ঠুস ঠাস আওয়াজে যখন বিরক্ত, আচমকা দেখি আক্ষরিক সন্ত্রাস! মোহন গুলি বেড়িয়ে গেছে। কাব্য জীবন ক্ষান্ত। জীবন কাব্যও। এপিটাফ রয়ে গেল; অক্ষরসন্ত্রাসী! আর কীই বা চাই। আর কীই বা লাগে?
বাংলাদেশ
বুক ভরা দীর্ঘশ্বাস
কবিতার হাসফাস
কবির শেষ নিশ্বাঃস,
লাল সবুজ প্রশ্বাস
একাত্তরের সন্ত্রাস
স্বাধীন ভূমির ত্রাস।
ভালোবাসা বাংলাদেশ
আলো আশার স্বদেশ।