
তীর্থযান
বিভ্রম
পৃথিবীর উতকৃষ্ট তান্ত্রিকের বসবাস : বাঁশির ভিতর
অদ্যাবধি সুতীব্র আফিম : বাঁশির সুর
— এ-দুই তোমার চুল!
দেবদারুর অরণ্য আর দূর পাহাড়ের বন,
সব ডিঙিয়ে রাত নামার আগে,
সিঁদুরস্নাত হিজলবন—পথভ্রষ্ট গোধূলি…
আফিম মাখা; বাঁশির তোড়ে; জারুলবনে গমন।
ভ্রমর
অন্তরীক্ষের ডাকযোগে পাঠানো
বৃষ্টির ডানায় লেপ্টে দেয়া হুহু-হৃৎবায়ু
একদিন ঠিকঠিক প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
বহুপ্রহর পেরিয়ে; অন্তহীন দরজার পাশ ঠেলে
প্রবেশ অনুমোদিত হলেও
অন্ধকার গ্রাস করবে প্রত্যাশিতর পথের গতিবিধি;
ভেতর থেকে ডানা ঝাপটাবে
অন্তিমকালে হারিয়ে যাওয়া বাক্সবন্দী অপ্রিয় ভ্রমর!
তীর্থযান
কবিতা বিভ্রম– এই-বোধ অধিগত হয়ে গেলে
সকল ভালোবাসাই হয়ে ওঠে সন্দিহান।
তখন আমি তোমায় খুঁজি আমার ঈশ্বর আর,
আকাশ-উজানে ভাসাই আমার তীর্থযান!
স্মরণ
মরে গেলে সবাই স্মরণ করে :
যখন মৃত্যু সংবাদ কানে পৌঁছে
অথবা চোখে পড়ে
অন্তত একবার; রক্তের বন্ধন। আত্মীয়স্বজন।
বন্ধু পরিজন। পাড়াপ্রতিবেশি সবাই।
যার কেউ নয়, সেও…
একবার মুচড়ে ওঠে ভেতর
অভিনয় ছাপিয়ে,
সত্যিই একবারের জন্য হলেও স্মরণ করে
এরপর ভুলে যায় সবাই, তেমনভাবে মৃত আর
কখনও স্মরণ পড়েনা জীবিতের মনে
কিন্তু ওইযে একবার,
সেও মায়া ক’রে স্মরণ করে
যে কোনোদিন স্মরণ করে নাই অপ্রিয় ব’লে
পবনঘণ্টি
সুদূর থেকে প্রার্থনাধ্বনি এসে বাতাসকে ছুঁয়ে দিলে
পবনঘণ্টিতে সুর ওঠে টুংটাং… টুংটাং…
অনড় প্রার্থনাধ্বনি— উন্মেষিত উড়োচিঠি
পবনঘণ্টির টুংটাং— বার্তা পেয়েছি সম্মতি