
জঁ ককতো’র কবিতা
জঁ ককতো একজন ফরাসি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, নকশাকার, চিত্রশিল্পী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। ককতো তাঁর উপন্যাস লেস এনফ্যান্তস তেরিবলস (ভয়ঙ্কর শিশু) ১৯২৯ এবং ব্লাড অফ অ্যা পয়েট (একজন কবির রক্ত) ১৯৩০, লেস প্যারেন্তস তেরিবলস (ভয়ঙ্কর পিতামাতা) ১৯৪৮, বিউটি অ্যান্ড দ্যা বিস্ট (সৌন্দর্য ও পশুপ্রকৃতি) ১৯৪৬ এবং অরফিয়াস (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাঁর চেনাশোনা সহযোগী, বন্ধুবান্ধব এবং প্রেমিকাদের মধ্যে কেনেথ অ্যাঞ্জার (আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা ও লেখক), পাবলো পিকাসো (স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, মুদ্রণশিল্পী, মৃৎশিল্পী, মঞ্চ পরিকল্পক, কবি ও নাট্যকার যিনি তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশিরভাগ অংশ ফ্রান্সে কাটিয়েছেন), জঁ হুগো (ফরাসি থিয়েটার পরিকল্পক, প্রাবন্ধিক ও কবি), জঁ ম্যারাইস (ফরাসি অভিনেতা, লেখক, পরিচালক ও ভাস্কর), হেনরি বার্নস্টেইন (ফরাসি নাট্যকার), মার্লিন ডিয়েট্রিচ (জার্মান-আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা), কোকো চ্যানেল (ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার), এরিক সাতি (ফরাসি সুরকার ও পিয়ানোবাদক), মারিয়া ফ্যালিক্স (মেক্সিকান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও গায়িকা), অ্যাডিথ পিয়াফ (ফরাসি গায়িকা, গীতিকার, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও ক্যাবারে পারফর্মার) এবং রেমন্ড রাদিগুয়েত (ফরাসি ঔপন্যাসিক ও কবি) অন্তর্ভূক্ত ছিলেন।
প্রেম
গোলাপের চেয়ে ছুরির ঘাই ভালো
আস্তে আস্তে আমাকে
হত্যা করতে দাও তোমাকে, দক্ষতার সাথে
তোমার প্রেমিক
পরিবর্তন করে তোমাকে বানায় মৃত
আকৃতির পরিবর্তন করে
রূপান্তর করে তোমাকে পশুতে, কালির পাত্রে
যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি চিৎকার করো
পাখি বন্দীকারীর রহস্য
আমি থাকি তাপ-প্রতিরোধক স্নানঘরে
তারা আমাকে দেয় ঝরনা, জাকুজি
দেয় আনুকূল্য
চাঙ্গা করতে আমার আফিমের চাহিদা
যা কোনো স্ব-সম্মানিত ব্যক্তি নিতে পারে না
ড্রাগ ছাড়া আমি বিচ্ছিন্ন
আর আমার পা দুটো নেই মাটিতে
কেটেছি পপির কাণ্ড
স্পষ্টতা হল রহস্য যা আমি পেয়েছি খুঁজে
ক্লোদ দেবোসির স্মরণে
ঢেউগুলো
পাতাগুলো
বাতাস আর অন্যান্য অজ্ঞাত সৃষ্টি
ভালোবাসে তোমায়
আর জানে তুমি এখনো জীবিত
প্রাকৃতিক ভূদৃশ্যের জাদুকর
একটি সবুজদস্তানা নিজেকে অস্থির করে তোলে
এর গভীর ক্ষত রক্তপাতে ঝরায় স্বর্ণ
পাথর এই মানুষটির উপর হবে না ওজন
যার প্রতিমূর্তি একটি মেঘ
ভালো শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিস
ধীর গতিতে পর্যবেক্ষিত সৌন্দর্য
গোলাপের উদ্দীপনা
স্বর্গদূত হয় সঙ্কোচন
এগুলো আকাশে সামান্য জিনিস
আমি মৃত্যুর জন্য শিক্ষানবিস
সাইকেল-আরোহী
তোমাদের পানি নামা পা
আর সাবলীল চলার উরু
প্রতিটি প্যাডেলের ঘূর্ণি দিয়ে পরিবর্তন করে দৃশ্য
গ্রীষ্ম আমাকে খোঁজে উঁচুতে
ঈশ্বরকে জাগিয়ো না
তিনি ঘুমান গভীরভাবে, আমি তার স্বপ্ন
তাকে জাগানো হতে পারে আমার মৃত্যু
গ্রীক এবঙ
জলের মৃত ব্যাঙ
টলেডোর শিল্পীর আঁকা যুবকদের মতো
আমি কি পেতে পারি তোমার কুৎসিত রূপ
তাদের পাগুলো ফোলা, পায়ের আঙুলগুলো খোলা
পাটের সাজ-সরঞ্জাম আর বিদ্যুতের মেঘ
নির্মাণ করে ঘরগুলো, তাদের শহরের শিলাগুলো
তারা আকর্ষণ করে বিদ্যুৎ চমকানো আর প্রার্থনা করে সাহায্য
চারদিক থেকে দেখা মৃত মহিলা, ভুল উপায়ে
শেষ ইচ্ছাপত্র
আমিই ছিলাম শুধু বিশ্রী
তারা ভেবেছিল আমি সব করেছি ঘুমের মধ্যে
আমার বাম দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে
তারা জোর দেয় যাতে আমি ব্যবহার করি ডান দিক
আমার জীবন তৈরি হয় এভাবে
এটা পরিত্যাগ করার ইচ্ছা নিয়ে আসে হতাশা
দেখেছি বিভিন্ন আনন্দ
যাইনি কোথাও কখনো
আসো মৃত্যু
যা নিয়ে আসে আমাদের স্থিরতা
ফিরিয়ে আনে আমাদেরকে যথাযথ জায়গায়
আমি আমার দেবদূতকে ধাক্কা দিতে ভয় পাই
আমার কদর্য লেখা আছে আমার মুখে