
চিনি নিয়ে ছিনিমিনি
সকালে জাগে বোধ
ঘুম থেকে উঠি রোজ
পাখি ডাকা ভোরে
পাখিদের কলোরবে
মন যায় ভরে।
ফজরের আযানও
বেশ ভালোলাগা
নামাজের জন্যই
আগেভাগে জাগা।
প্রভাতের ফোটা ফুলে
সুবাসিত ঘ্রাণ
নিঃশ্বাসে প্রশান্তি
তাজা হয় প্রাণ।
সূর্যের উঁকিঝুঁকি
দেয় মিঠে রোদ
সকালের এই সবে
জেগে ওঠে বোধ।
চিনি নিয়ে ছিনিমিনি
ধবধবে সাদা চিনি
খেতে ভারী মিষ্টি
লোভনীয় রূপ তার
কেড়ে নেয় দৃষ্টি।
চায়ে চিনি দিতে হয়
শরবত বানাতে
মিঠা পিঠা খেতে আরো
লাগে কিছু খানাতে।
সেই চিনি আজ দামি
ঘেমে যাই কিনতে
এতো দামি কি কারণে?
ভুলে যাই চিনতে।
চিনি নিয়ে ছিনিমিনি
বুক জুড়ে বেদন
কারসাজি যে করুক
মাথা হোক ছেদন।
শাস্তির জল
প্রতিদিন শোনা যায়
বাজারে আগুন
দিনে দিনে ছড়ায় তা
বাড়ে শতগুণ।
আগুনের লেলিহান
শিখা রোজ জ্বলে
ধনী পায় কিছু তাপ
দুখি পুড়ে গলে।
এ আগুন প্রকাশ্যে
জ্বলে হরদম
চোখ আছে দেখি না রে
কেড়ে নেয় দম।
জ্বলে রোজ সারাদেশে
প্রাণ যায় যায়
এ আগুন থেকে কেউ
মধু লুটে খায়।
এ আগুন প্রতিরোধে
একতাই বল
পাশাপাশি ঢালা হলে
শাস্তির জল।
আহ! কতো শান্তি
আহ! কতো শান্তিরে
মা মাটির গাঁয়
শুয়ে বসে তৃপ্তিও
সুশীতল ছায়
প্রাণভরে নিঃশ্বাসে
নির্মল বায়ু
তরতাজা শাক ভাতে
প্রাণ পায় আয়ু
গাছ পাকা ফলমূল
খুব মজা খেতে
মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ
পাই হেঁটে যেতে
ফুল পাখিদের গান
মনে দেয় দোলা
গাঁয়ে এতো প্রশান্তি
যায় না তো ভোলা
স্বর্গীয় পরিবেশ
অনুভবে পাই
মমতার যাদু মাখা
আর কোথা নাই।
আমাদের গ্রাম
সবুজ শ্যামল মায়া ঘেরা
কালিয়াকৈড় গ্রাম
পাগল করা রূপ যৌবন তার
দেখি ডানে বাম।
শান্তি সুখের বারি ঝরে
গাছের শীতল ছায়
মন ভরে যায় মিষ্টি সুরে
পাখি যখন গায়।
দৃষ্টি কাড়ে গাছে গাছে
থোকা থোকা ফুল
ফুলের মধু লুটে নিতে
ভোমরার হয় ব্যাকুল।
ভালো লাগে রাখাল যখন
গরু চরায় মাঠে
গান বাজনা আর বাঁশির সুরে
সময় তারই কাটে।
সোনা বরণ ধানে ভরে
মাঠের পরে মাঠ
মুগ্ধ করে ধূলোমাখা
হাজার স্মৃতির বাট।
কোল ঘেঁষে তার বয়ে চলে
আঁকাবাঁকা নদী
মনোলোভা দৃশ্য পাবে
গ্রামে আসো যদি।