
ঘাসফড়িঙের পা
তোমার ঘুমন্ত অবয়বে
চাহিদা জেনেও না জানার ভান তোমার
মাঝে মাঝে ছুঁয়ে দিয়ে যাও
সালতামামি অদল বদল হয়
বর্ষা এই এলো বলে
তারপর শরৎ, শিউলীর গন্ধ মাখা দিন
শরীর তো তা বুঝে না, কী বুঝে না তাও না বুঝে
ভান করে কাটাও সব সাফল্যের রাত।
মুখায়বয়ব কী শান্ত তোমার!
মস্তিস্কে প্যাঁচ লাগানো রোডম্যাপ নিয়ে
রাতগুলোকে বিমর্ষ করতে দেখি জুড়ি নেই সখি।
আমি তোমার ঘুমন্ত মুখেও আজ রাজনীতি দেখি।
নিদ্রামগ্ন সময় তোমার
সব কটা দিনকেই নষ্ট করেছো, রাত তো অন্ধকারই
কৃষ্ণপক্ষকে আরো গাঢ় করে তুলে দিয়ে মজা লুটো তুমি!
অথচ নিয়ন্ত্রণ ছিলো তোমার হাতেই
সরল স্নিগ্ধ এই রূপের আড়ালে রাখো কুটিলতার জয়ধ্বনি।
সব সংজ্ঞা পাল্টে দিয়ে ছত্রখান করে দিলে স্নিগ্ধ এ ভোর!
কতো স্বপ্ন নষ্ট হয় রাতের বাতাসে
সব কিছু জেনে বুঝে খুলে দিলে রাতের জানালা—
এখন পোকা মাকড়ের যতো হৈ হল্লা নিয়ে
আমাকে কাটাতে হবে রাতের প্রহর।
তুমি তো নিদ্রায় আছো
গাঢ় ঘুমে পার করো আঁধার সময়।
তোমার এই হাবুডুবু খাওয়া
সহসাই পেয়ে গেলে পথ
যদি জানা যায়, এটাই নিয়ে গেছে গন্তব্যের কাছে
দুঃখটা প্রশমিত হয়
তারপর ধাপে ধাপে মহীরূহ হয়ে যায় লালিত স্বপ্নরা।
ফেউ ফেউ করে ঘুরে বেড়ানো সময়
টেবিল থেকে টেবিলে করুণার চাহনী রেখে
বিলাপ ছড়ানো দিন আজ আর নেই
জেনে গেছো ,অনেকেই চেয়ে থাকে—
প্রত্যাশার হাত পাতে
ম্যাসেঞ্জারে তেলতেলে শব্দে রাখে শুভ কামনাও।
তুমি তো পাল্টাবেই সোনা!
কুয়ো থেকে সমুদ্রে পড়লে হয় হাবুডুবু শুধু
তুমি আছো ঠিক এই স্তরে
আমি তো জেনেছি এটা দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিয়ে।
ঘাসফড়িঙের কয়টি পা?
একটি দুইটি করে গোনা হয়নি তো
কতো পায়ে স্থির হয় ঘাস ফড়িঙেরা!
তোমার কথায় এই বিশ্বাস রেখে
আজীবন লিখে গেছি কাগজে ও প্যাডে
পিসি ও ট্যাবের পর্দায়—
প্রশ্ন তুলেনি কেউ, বিশ্বাস হয়েছে দৃঢ়…
আজ প্রতিকূল সময়ের হাত ধরে আঙুল উঠায় দেখো
লেজহীন বানরের দল!
আমি থাকি নিশ্চুপ
বিশ্বাসের ডালপালা ভেঙেচুরে ছড়িয়ে গিয়েছে আজ
পরিচ্ছন্ন কোন উঠোন আজ নেই
যেখানে শীতলপাটি বিছিয়ে নিয়ে
ছোঁয়াতে পারি এই উত্তপ্ত শরীর।
হিসেব পাল্টে গেছে—
ঘাস ফড়িঙের পা,
সঠিক হিসাব ছাড়া বলা তো যাবে না।
ঘুপচির অন্ধকারে আলোর নিবাস
তোমার মনের কথা নয় জেনে
প্রতিবাদ করে যাই নিয়ম মাফিক।
তোমার ক্রেধের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও জানি
লেখাতেই সীমাবদ্ধ থেকে থেকে
বাড়বে লাইনের গতি, বাড়তি কমেন্ট—
নানান রঙিন ইমো জ্বলজ্বলে চোখে তাকাবেই
কটাক্ষে রঙিন করে পর্দায় জড়াবে তোমাকে।
এ রকম সীমাবদ্ধ সময়েই তোমার আমার বসত
উচুতেও একজন জ্বলজ্বলে চোখে দেখি তাকিয়ে থাকে রাত দিন
ফাঁকিবাজ নয় বলে পরিশ্রমে নিয়মিত ঘামও ঝরাই
তারপরও নিন্দামন্দ করে চামচারা
অসহায় হাত পা ছুড়ে যাই, গালমন্দ করি নিরবেই।
খারাপ সময় বলে ছেড়েছুড়ে পারি না যেতে
ঘুপচির এই বন্ধ ঘর।
সুবর্ণ সময় এলে দুইজনে হাত ধরাধরি করে
হেঁটে যাবো আনন্দনগর।