
কাকতাড়ুয়া
340 বার পঠিত
ইরশাদ আলির বিঘাখানেক জমি। অতি সৌখিন চাষি সে। প্রয়োজন আর শখ দুটো মেটাতে বছরের সবকটা দিন পড়ে থাকে জমিতে। এটা-সেটা বুনছে। কখনও ভাগ ভাগ করে মৌসুমি আবাদ করে ভিন্ন ভিন্ন ফসলের। পাখ-পাখালির উপদ্রব থেকে ফসল বাঁচাতে কাকতাড়ুয়া পুঁতে রাখে মাঝ বরাবর। এবারও বহু যত্ন নিয়ে চষা মাটির বুক ফুঁড়ে কাকতাড়ুয়া গেঁড়ে দিল।
ইরশাদ আলির খড়ের ঘরে বারো মাস জোছনা খেলে। এই চাঁদটার নাম নূরি। এর কোন কৃষ্ণপক্ষ নেই। গ্রহণও লাগে না। প্রচণ্ড বিশ্বাসে গাঁড়া এর ভিত। ইরশাদ আলি ভাবেইনি এখানেও একটা কাকতাড়ুয়ার প্রয়োজন।
সৌখিন চাষাটা এখন অমাবস্যার অন্ধকার তাড়াতে কেবল প্রদীপের তৈল নিঃশেষ করে…