
ও মোর মাহুতবন্ধু রে
১.
ক্রমশ পাতাবাহার বলতে আমি তোমায় জেনেছি
বায়ুসখা বলতে আমি জেনেছি তোমায়
তার মুখে যেটুকু রোদ, সেটুকুই পৃথিবীর আয়ু
ধনুকে সন্ধি বিনে আর কোন নভোশিসে পাব তোমায়,
জানিও
২.
নৈঃশব্দ্যের সব স্মৃতি এক আমুদে পেঁচা সংগ্রহ করে চলেছে
তোমায় ভালবেসে?
প্রার্থনার ভাষা পেরিয়ে এসেছি
বলো, নয়নবারি ফুরিয়ে এলে
আর কীভাবে বাঁচিয়ে রাখবে আগুনের গহন কুসুম?
৩.
‘কাঁটাগাছ ও সরীসৃপ ঘুরে বেড়ানো’ আঁকা অন্তর্বাস পরো তুমি
এবং দেখো,
তা যেন কোনভাবেই পূর্ণ ব্যাখ্যার দিকে না যায়!
এই মেঘসমাগমের মধ্যে
আর একবার যদি ব্যাংকে সুদের হার বাড়াও তুমি,
আমি লাইটার ও কেরসিন নিয়ে
তোমার অস্বীকারোক্তির সামনে আবহমান দাঁড়িয়ে পড়ব
৪.
শোনা যায়, কাশ্মিরি বাগিচা থেকে তুলে আনা এক আগুন-নর্তকী
পুণ্ড্ররাজবাড়িতে এসে,
হেরেমে রাজার চেয়ে রাণীর প্রতি কামনায় উন্মত্ত হয়ে পড়ে!
আর এ কথা পাঁচকান হতেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়!
সেই থেকে তার কথা-বলা কাকাতুয়া, তার পেশোয়াজ
আমি খুঁজে চলেছি মহাশূন্যের স্মৃতিতে,
পর্তুগিজ এক নাবিকের কবরে সমাহিত বেহালায়…
এ কবিতা আর কিছু নয়
চিতাবাঘের ঘুমে তোমার আলকুশি ছড়িয়ে দেয়া ছাড়া
৫.
অন্ধত্ব ছাড়া সংজ্ঞার বিমূর্ততা উপভোগ করা যায় না
আবহ তৈরিই হয় ছদ্মবেশের অজস্র ক্ষয়ে
.
অথচ জাদুঘরের আলোয় মৃত্যু নিয়ে কিছু বলতে গেলেই
দুনিয়ার তাবৎ প্রতীক ভেঙে পড়ে!
ফলে, রাক্ষসের বেদনা ছাড়া
কোন বিমূর্ততাই উপভোগ করতে পার নি
প্রিয়, তুমি বিনে আজ আর কোন মৌল মূর্ততা নেই আমার
৬.
পাতার ভ্রমণপথ ধরে গেয়েছ গান—
তুমুল সংজ্ঞা, সহো
একা এতিম শিশুর মতো খেলছে,
অপার বিরহ