
একচক্ষু পানিশঙ্খের গ্রাম
নন্দিনী দত্ত
আশ্চর্য যক্ষের ভিতর স্থির বট গাছ
শ্যামল স্বর্গে বেহাগ খাম্বাজ জোনাকিরা নন্দিনীকে চায়
নন্দিনী আরও স্পষ্ট হচ্ছে
ক্রমশ ফসকে যাচ্ছে দেবতা থেকে দেবতাদের চোখ!
ওহে নন্দিনী
এই আমার আত্তি
আমি মেঘনাদ আমি কাম
নিশ্চিত মিথ্যার পাশে তুমিই সত্য
কাছে নেবে আমার মহাবীর নির্বাণ?
প্রমাথিনী তোমার সখী
দুর্গানবমীর পর এস দু’জনে পাঠ করবো প্রকৃতিকে
শিবপুরাণ থেকে তুলে নেব দোতারা- কল্প
নান্দনিক হুঁশ আছে
পোড়েনের পরেও রাষ্ট্রই আমার টান
তরুণ কবি শব্দ খুঁটে খায়।
কলম ও নন্দিনীকে আমি মিথ্যা বলতে পারবো না
জেনে নিন সিদ্ধার্থ।
একচক্ষু পানিশঙ্খের গ্রাম
মাঝরাতে শব্দগুলো ফড়িয়াপুকুর ঘুরতে যায়
ফ্রয়েডের পর আমি দার্শনিক মনস্কামনা জানিয়েছিলাম ছায়াকে।
ছায়া সমুদ্রহৃদয়
থমথমে সমুদ্রে তন্ত্র নিয়ে কবিতা লেখে জ্যোর্তিময়ী দেবশ্রী
গিঁট খুলে রাখি জ্ঞানকোষে
আজ অন্ন দান করবো ধৈর্য ও আধিপত্যে।
ফড়িয়াপুকুর থেকে চলে যাব আসন-স্বাগত-পাদ্য-অর্ঘ্যে…. আরাধ্য এখন বাউল গানে চাঁদের আলো জড়ো করছেন।
ফ্রয়েড হোক অথবা মৈথুন
বিবাগী পাথরের গায়ে খোদাই করব
গন্ধ, পুষ্প, ধূপ
সায়ংসন্ধ্যায় গুরুমা ও নন্দিনী আমাকে নিয়ে যাবে একচক্ষু পানিশঙ্খের গ্রাম।
আমি সব , আমি মৃত্যুকে আপত্তি করিনি।
ঘড়ি , শ্রীখোল
মধ্যরাতে বাঁশতলার কল থেকে জল তোলে সাবর্ণ মনু
জ্যামিতিবক্সের সংসারে কোনো বর্ণবিদ্বেষ নেই
সাবর্ণ মনুকে সঙ্গে নিয়ে ঘড়ির কাছে আসি
ঘড়ি আমাদের প্রপিতামহ , ঘড়ি আমাদের ক্ষমতা
ঘাড়ের নীচু থেকে সরিয়ে নাও কমণ্ডলুর ফুলদানি
আমার পরিধিতে গির্জার পরিরা শ্রীখোল বাজায়।
তোমার অবস্থান আমাকে মেসেজ করে জানিও
ওয়াটস্যাপের বদলে আশ্বিন মাস থেকে ডাউনলোড করি নামহীন মরুভূমির কাকাতুয়ালিপি
কম্পাস ডাকে যুবতীদের সভায়
জলপথে যুবতী ও যুবতীরা যাবে রাঁজহাসজলপ্রপাত
ওখানেই দেখা হবে সেকেন্ডের কাঁটার সাথে।
কাঁটার বীর্যে সারি সারি রূপান্তরিত হাসপাতাল
হাসপাতালের সুপার বিষমবাহু ত্রিভুজে বসে জপ করে ধ্রুবরেখা
আমার অক্ষে গির্জার ঘণ্টা থেমে থেমে বাজায় ছাপাখানার ভূত।
ভূত প্রবেশ করে কলমে — কলম নিশাচর , ধনু রাশি।
পিতৃগণ
আশ্বিনে, আমার ছায়াও আনন্দ করে।
না বাবা!
ঠাকুমার মৃত্যু হলেও তুমি তর্পণ করতে পারবে না।
দাদু জীবিত, দাদু ধান।
বাইরের জেলা থেকে আজও অষ্টমীর দিন ঠাকুরদালানে লোকজনের ভিড় হয়
ঘরে, মায়ের ও বাবার বাড়ির আত্মীয়
আমি কেবল দেখি নন্দিনী দত্তের ডাকের সাজ।
বাইরে;
কাশফুল ফুটে থাকা মাঠে বাঁশি বাজাতে যায়
গ্রামের ছেলেরা কেউ মাথায় বসে কেউ কাঁধে
দুপুর ভেঙে যখন বিকাল আসে
আমি বিকাল পড়িয়ে দি নাকছাবির বদলে।
তুমি দশমীর দিন বুঝতে পারবে তুমি কে?
এই নাও সামান্য অস্থির
আমার কপালে, সারা ঠাকুরদালানে রক্তচন্দন ও ধুনো দিয়েছে আরাধ্য পিতৃগণ।
দশমী , ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে দক্ষকন্যা।
পুণ্যের ভিতরে
অস্বীকার করো না
পুণ্যের ভিতরে ঘুম এলে পিতা- দেবদারু গাছ গান করতে করতে কাঁদে।
কাঁদলে মানুষ কতটা হালকা হয় আমি জানি না
আমি প্রথম কেঁদেছিলাম যখন বুঝতে পারলাম এবার বড়ো হয়ে উঠছি।
বাবার বড়ো ছায়ার পাশে আমার ছোট ছায়া
কোজাগরী রাতে গান গায় আপেলবাগান।
আত্মপরিচয় নিয়ে বৃষ্টি এসেছিল মিথের কাছে
মিথ আমাদের ওয়ার্ডেই থাকে
বৃষ্টি;
চেনা পাখির মতো দেখতে
টিপ…টিপ বৃষ্টি :
অচেনা হায়নার মতো অনেকটা!
বাগানে শুনতে যাব গান।