
উড্ডয়নসূত্র ॥ পর্ব- ৪
লোডশেডিংয়ের ক্ষণগুলোতে আমাদের নিজস্ব কিছু ‘রিচুয়াল’ আছে।
আমাদের পাড়ায় সাধারণত সন্ধ্যে সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা— এই এক ঘণ্টা নিয়মিত লোডশেডিং হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের মেজাজ-মর্জির উপর নির্ভর করে সকাল বা দুপুরের দিকে আরেকবার হয়। এর উপরে আবার ‘চুপকে-চুপকে’ লোডশেডিংয়ের ব্যাপারও আছে। রাত একটা কি দেড়টার দিকে সবাই যখন মোটামুটি ঘুমে অচেতন, তখন প্রায় রাতেই নিঃশব্দে বিদ্যুৎ চলে যায়।
সন্ধ্যার পর থেকে ঘরে ঘরে মশা দমনের যে লড়াই জারি ছিল, সেটা নানান ধরনের কয়েল পুড়িয়ে এবং ধূপ জ্বালিয়েও যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তখন নাখালপাড়াবাসী তাদের সম্মিলিত হারের কারণ হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সব ‘খোকামিয়ার’ দোষ। মাঝে মাঝে সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের ড্রাম নিয়ে যেসব ‘স্প্রেওয়ালা’রা আসে, এসে এগলি-ওগলি উৎকট ধোঁয়া এবং ধোঁয়ার গন্ধে ভরে দিয়ে যায়, তার অন্তত নব্বই ভাগ যে বুড়িগঙ্গার তীরে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা ট্যানারির বর্জ্যভরা পানি— তাতে আমরা নিঃসন্দেহ হয়ে যাই। এসব দিনে, জগলু কারিগর তার বেলুনাকৃতি ভুঁড়ি হতে বিপদজনক গতিতে নিচের দিকে নামতে থাকা ‘ছাপার লুঙিটি’ সামলাতে সামলাতে মোড়ে জটলা পাকানো এলাকাবাসীদেরকে জ্ঞান দেন, “আবে ঐ টাংকির ভিতরে ওষুধ-বিষুধ কিচ্ছু নাইক্কা, বিলকুল ওয়াটার। সব ওষুধ হালারা কালোবাজার কইরা ইন্ডিয়া পাচার কইরা দিছে, আর আমগো লিগা পাঠাইছে বুড়িগঙ্গার ওয়াটার, আমি হালায় এই সব চালাকি জানি না বোঝছো?” জগলু কারিগর একসময় ওয়াসায় কাজ করতেন, সময়ের বহু আগে রিটায়ারমেন্টে গেছেন (লোকে বলে, রিটায়ারমেন্ট নয়, ঘুষ কেলেংকারিতে চাকরি খুইয়েছেন), এইসব ভিতরের কথা তিনি জানলেও জানতে পারেন। শেষ পর্যন্ত মশার হাত থেকে বাঁচতে জনগণ যখন সেই আদি ও অকৃত্রিম মশারি খাটিয়ে এবং ঘামে চিটচিটে শরীর নিয়ে এপাশ-ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন রাতের আঁধারে গটরগটর করে চলতে থাকা সিলিং ফ্যানটি বন্ধ হয়ে যায়।
এতক্ষণ তবু ঘরের গরম বাতাসটুকুকেই পিটিয়ে বাম থেকে ডানে, এবং পরক্ষণে ডান থেকে বামে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, গায়ের ঘাম গায়ের চামড়ায় শুকিয়ে একধরনের শীতলতার আমেজ তৈরি হয়েছিল, এবং চাই কি আরামের আতিশয্যে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে ক্ষমা করে দেবার কথা পর্যন্ত বিবেচনা করতে শুরু করেছিল, ঠিক তখুনি সিলিং ফ্যান বন্ধ হয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া চামড়া আবার ঘামে চিড়বিড় করে ওঠে, একে একে নাখালপাড়াবাসী জেগে উঠতে শুরু করে মাঝ রাত্রিতে, জেগে সব দোষ যে ‘খোকামিয়ার’— সেই সিদ্ধান্তে ফিরে যায়।
সিলিং ফ্যান বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে জেগে উঠে নাখালপাড়ার শিশুরা। তারা হাত পা ছুঁড়ে কাঁদতে শুরু করলে পাশে শোয়া তাদের বাপ ও মায়েরা ‘ও ও ও’ করে কিছুক্ষণ, তারপর গরমের আতিশয্যে অনির্দিষ্ট কিছু গালিগালাজ বর্ষণ করতে করতে জেগে ওঠে নিজেরাই। ‘কারেন্ট গেছে গিয়া’ — তারা অনেকটা নির্লিপ্ত কণ্ঠেই পরস্পরকে শোনায়, এবং ‘দুনিয়ার বুকে এক ফোঁটা বাতাস নাই গো’ স্বগোক্তি করতে করতে বিছানার কোণে পড়ে থাকা হাত পাখাটির শরণ নেয়। হাতপাখাটি ঘোরাতে ঘোরাতে একসময় বাড়ির মুখ-আলগা কর্তা এই মাঝরাত্রিতে কোন ‘হাউয়ার পো’ লাইন ‘বন’ করে দিয়েছে, তার ‘মা ও মাসিকে’ উদ্ধার করতে মনোযোগী হন। কিন্তু দুনিয়ার বুকে ‘এক ফোঁটা বাতাসের প্রবাহও’ যিনি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে— তার সম্পর্কে খারাপ কোন মন্তব্য করার সাহস হয় না কারো— তা যতো মুখ-আলগা-ঘামে-অস্থির হওয়া কর্তাই হোক না কেন। এসময় অতি সাহসী কেউ কেউ মশারির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে একটুখানি বাতাসের আশায় বারান্দায় বের হন, এবং অচিরেই নিজের বেমক্কা সাহসের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ নিজেই নিজের গালে কপালে হাতে পিঠে, মোট কথা, শরীরের অনাবৃত প্রতিটি বর্গ ইঞ্চিতে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে মশারির ভেতরে গিয়ে ঢোকেন। স্বামী নিজের গালে নিজেই চপেটাঘাত করছে দেখে আমাদের নাখালপাড়ার কোন কোন ফিচেল স্ত্রী খুকখুক করে হেসে ফেলেন। স্বামী ভদ্রলোকটি হাসেন না, আরো কয়েক দলা গালাগালি (এবারের গালাগালি মনে মনে করে থাকেন, কেননা, শব্দ করে বললে মনে হতে পারে হাসছেন বলে স্ত্রীকে এসব বলছেন!) করতে করতে উদাস কণ্ঠে মহাবীর আলেকজাণ্ডারের গল্প শুরু করেন: সম্ভব, কও? মহাবীর আলেকজাণ্ডারের নাম শুনছ না? পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনী ছিল তার অধিকারে। সে কীভাবে মারা গেল, জানো? মশার কামড়ে। বেচারা বেরিয়েছিল পৃথিবী জয়ে। যেই পাকিস্তানে ঢুকলো, খাইলো মশার কামড়। না কামান, না গোলাগুলি, স্রেফ মশার হুল। এক কামড়েই জ্বর, ডরে বেচারা পালাইয়া গেল ব্যাবিলন। তাতে কি আর নিস্তার আছে? সেই এক জ্বরেই লাইফ শেষ।
স্বামীর পাণ্ডিত্যে স্ত্রীটি তখন মুগ্ধ। অবাক গলায় নিজের মতামত জাহির করেন, কও কী? আহা রে! চিকুনগুনিয়া মশা ছিল মনে হয়!
স্ত্রীর মুগ্ধতা উপভোগ করতে করতে স্বামী ভদ্রলোক তখন নমরুদের গল্প করতে প্রবৃত্ত হন। নমরুদের মতো দুনিয়া কাঁপানো শাসক যে একটা ল্যাঙড়া মশার আক্রমণে মারা যান— সেই গল্পটি রসিয়েরসিয়ে বলবেন বলে মনস্থির করতে না করতেই পাশে কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে থাকা থাকা শিশুটি আবার চেঁচিয়ে উঠে। ভদ্রলোক তখন নিজের বুকের উপরে চুঁইয়ে নামা ঘামে একটা গামছা ঘষতে ঘষতে স্ত্রীকে উপদেশ দেন, ওর মুখে দুধ দাও। একটু দুধ দাও।
স্ত্রী ভদ্রমহিলা তখন স্বামীর দিক হতে একটু ঘুরে গিয়ে আঁচল আলগা করে শিশুটির মুখে স্তন্য তুলে দিলে, স্বামী ভদ্রলোক মোলায়েম গলায় হাসেন, ওমা, আমারে শরম পাওনি আবার!
তার উত্তরে স্ত্রীও হাসেন, একটু নাঁকি সুর তুলে নরম-তিরস্কার করেন স্বামীকে, তাইলে? আমি কি আপনের মতো বেশরম নি?
এভাবে মধ্যরাত্রিতে একটা ছোটোখাটো দাম্পত্য ক্ষণ তৈরি করে দিয়ে ঘণ্টাখানেক পরে শটাং করে একটা শব্দ হয়। শব্দটি ঘরের সিলিংয়ে ঝোলানো ফ্যানের। প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করা কান এই শব্দে রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে, অন্ধকারেই সেই সিলিং ফ্যানগুলো প্রবল আশ্বাস জাগিয়ে ঘুরতে শুরু করে আবার, ঘোরাতে শুরু করে ঘামে ভেজা ঘরের বাতাসকে ডান থেকে বামে, বাম থেকে ডানে। পাখার আশ্বাসেই নাখালপাড়াবাসী আবার ঘুমাতে যায়।
বাচ্চাগুলো অবশ্য এত সহজে ঘুমাতে চায় না আর। তখন ঘুমে কাতর মায়েরা ওদের নরম গায়ের উপরে হালকা চাপড় দিতে দিতে সুর ধরে, ‘ঘুমের দেশে পরী এসে ঘুম দিয়ে যাও, ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি মোদের বাড়ি এসো।’ গানের সুরে কখন যে বাচ্চাটি ঘুমিয়ে যায়, সে সুর গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে যায় গায়িকা নিজে, এবং সুরের সাথে ঐক্যতান রেখে বাচ্চার বাবার নাক ডাকার শব্দ আরো ঘন হয়ে উঠে ক্রমশ।
কিন্তু আমাদের ‘রিচুয়াল’টা মূলত সন্ধ্যের লোডশেডিং নিয়ে। ঝপ করে যখন সন্ধ্যার লোডশেডিংটি নামে, তখন চারদিকের বাসা-বাড়ির জানালার ধারে পড়তে বসা বাচ্চারা বিপুল হর্ষধ্বনি করে ওঠে। কিন্তু সেই উল্লাসধ্বনি দীর্ঘস্থায়ী করার সুযোগ হয় না বেচারাদের। কেননা, তাদের অতি-সর্তক বাবা-মায়েরা আগে থাকতেই যথেষ্ট মোমবাতির মজুত রেখে দিয়েছিলেন ঘরে। তাই বাতি নিভতে না নিভতেই ম্যাজিকের মতো ছোট ছোট মোমবাতি জ্বলে ওঠে ঘরে ঘরে, এবং আমাদের পাড়ার বেবাক মায়েরা ‘জেসি জ্যায়সি কোই নেহি’ দেখায় ব্যাঘাত ঘটার ঝাল তোলেন বাচ্চাগুলোকে সেই নিভুনিভু আলোতে বই নিয়ে বসিয়ে রাখাতে। অন্ধকার নামতে না নামতেই, চারদিকে যখন বিভিন্ন ঘর-বাড়ি হতে বাচ্চাদের হর্ষধ্বনি উঠে মিলিয়ে যায়, আমরা শুরু করি ‘হুক্কাহুয়া’ ডাক। সুরমন অবিকল শেয়ালের ডাক ডাকতে পারে। আমরাও তার থেকে খানিকটা মশকো করে নিয়েছি। প্রথমে সুরমন সুর তোলে। তার সাথে সাথে আমরা গলা মিলাই। কান পেতে শুনলে হয়তো শুনতে পেতাম, নাখালপাড়া রেললাইনের ওধারে যে ঝোপ-ঝাড়গুলো আছে, তার মধ্যে বাস করা প্রকৃত শেয়ালরাও হয়তো আমাদের সাথে গলা মেলাচ্ছে। ভাবছে, শেয়ালের রাজত্ব তবে শুরু হলো শেষ পর্যন্ত।
কিন্তু শেয়ালের রাজত্ব করার ভাবনাকে দীর্ঘায়িত হবার সুযোগ দেই না আমরা। শেয়ালের ডাক শেষ হলে আমরা সিগারেট ধরিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসি। রনি কিছুদিন ধরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে গিয়ে গিটার বাজানো শিখছে। সকাল-বিকাল যখনি বাসা থেকে বের হয়, কাঁধে অবশ্যম্ভাবী হাওয়াইয়ান গিটারটি ঝুলতে থাকে ওর। এতক্ষণে বেচারা সেটা খোলার সুযোগ পায়। এবং প্রথম সুযোগেই নতুন শিখেছে— এমন একটা কোন টিউন বাজাতে শুরু করে। ওর গিটারে ঝম করে শব্দ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা আমাদের, এবং সেটি শুরু হতে না হতেই, সে কোন ধরনের টিউনই হোক না কেন, আমরা আইয়ুব বাচ্চু কিংবা জেমসের সদ্য রিলিজ হওয়া কোন গান গাইতে শুরু করি প্রাণপণে। কিন্তু এ উদ্যম বেশিক্ষণ চালানো যায় না, শিগগিরই নিজেরাই বুঝতে পারে, সুর আর কথা তাল-গোল পাকিয়ে ফেলেছি। সুতরাং একে একে আমাদের গলাগুলো নিভে যেতে থাকে। এবং এ সময় চড়ায় উঠে আসে মোহনের গলা। ওর গানের গলা সত্যি ঈর্ষা করার মতো। ও যখন এলআরবি’র ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ গানে টান ধরে, তখন সেই সুরের বাতাস আমাদের পূর্ব নাখালপাড়ার গলির এ কোণায় ও কোণায় জমে থাকা অন্ধকারগুলোকে কেমন কোমল করে তোলে, বুঝতে পারি নানান বারান্দা আর জানালা হতে উঁকি-ঝুঁকি মারতে শুরু করেছে অনেকগুলো মুখ। গান চলতেই চলতেই সুরমনের চোঙা প্যান্টের ভেতরের পকেট থেকে থ্যাতলে যাওয়া একটা ‘শলা’ বের হয়, তাতে আগুন জ্বলে ওঠে ফস্ করে এবং হাতে হাতে ঘুরতে শুরু করে শলাটি। গান পাল্টে যায়, মোহন কোনরকম সাধাসাধি ছাড়াই গাইতে শুরু গুরু জেমসের গান।
প্রতি সন্ধ্যায় এই লোডশেডিং, তার অব্যবহিত পরে আমাদের হুক্কা হুয়া ডাক, ডাক শেষে গিটারের ভুল টিউনে এলআরবি কিংবা জেমসের গান, এবং গাইতে গাইতে এক শলা সম্মিলিত সিদ্ধি সেবন— আমাদের প্রতিদিনের রুটিনের একটা অংশ।
কিন্তু আজকের লোডশেডিং শুরু হতে তখনও প্রায় ঘণ্টাখানেক বাকি। এই সময়ে ‘বুম’ করে চারদিক অন্ধকার হবার একটাই মানে, কোথাও জেনারেটর বার্স্ট হয়েছে। টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডের ও পাশটাতে দিব্যি আলো দেখা যাচ্ছে। ঘটনা যা ঘটার, তা আমাদের লাইনেই কোথাও হয়েছে।
আকতার বলল, যাস শালা।
বিশেষ করে ওর বিরক্ত হবার কারণ আছে। বেচারা আজকে মেটালিকার ছাপ মারা কালো রঙের নতুন টি-শার্ট পরে এসেছে। বুকের উপর বিদঘুটে মতো দেখতে হা করা সাপ, সাপের মাঝবরাবর শ্লোগান, “ডোন্ট ট্রিড অন মি”। ও এসে অব্দি সুযোগ খুঁজছে— এই বিশেষ টি-শার্ট যে ওর মামা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাঠিয়েছেন, সেই গল্পটি ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার। এই বিশেষ ‘বদ-খাসলত’টি আছে ওর। নতুন কিছু কিনলে বা উপহার-টুপহার পেলে সেটার পূর্বাপর ইতিহাস শুনিয়ে তবে শান্তি পায় ও। আজকেও গল্পটি শুরু করেছিল আগেই, কিন্তু মুখ খুলবার আগেই জুয়েল থামিয়ে দিয়েছিল ওকে, ‘বুকের উপর যে লেখাটা নিযে ঘুরছিস, মানে জানিস ওটার?’
আকতার মুখ কালো হয়ে যায়। শালা দারুণ জব্দ হয়েছে— ভেবে আমরা হয়তো খানিকটা আনন্দ পেতে পারতাম, তাছাড়া টিশার্টে অংকিত মেটালিকার যে লোগো, তার শুরুর ‘এম’ ও শেষের ‘এ’ অক্ষরের ছড়ানো পা ও বেয়াল্লিশ ইঞ্চি ফুলে ওঠা বুকের ছাতির সাথে এমন খাপে খাপে মিলে গেছে যে, চাইলেও আমাদের বিজাতীয় ঈর্ষাটাকে সামলে রাখা যাচ্ছিল না, সেটা ওর অজ্ঞতার অন্ধকারে ছাওয়া মুখটার দিকে তাকিয়ে খানিকটা পুলকিত হয়ে উঠতে পারতো, কিন্তু হয় না। তার কারণ, ঐ লেখাটার মানে আমাদেরও ঠিক জানা নেই। কী হতে পারে বিষয়টা? — মনে মনে আমরা ভাবার চেষ্টা করি।
(চলবে)