
উড্ডয়নসূত্র ॥ পর্ব- ১৮
হঠাৎ টের পেলাম, আমার পকেট কাঁপছে। তার মানে, ফোনে রিং হচ্ছে। কেন জানি ফোনের রিংটোন শুনতে আমার কখনোই ভাল লাগে না। ইদানিং ফোন কোম্পানিগুলো রিংটোন হিসেবে বিভিন্ন গান সেট করার সুযোগ দিচ্ছে। আমাদের আর সবার রিংটোনেই কোন না কোন গান আছে। সেগুলো যখন তখন বেজে উঠে—শুনতে বেশ লাগে আমার। এই যে জয়ের ফোন, যখন বাজে, শোনা যায়—পথে পথে চলতে চলতে, একদিন কোথায় হারিয়ে যাব। বাজতে শুরু করলে আমি বলি, দাঁড়া, গানটা আরেকটু বেজে নিক, তারপর ফোনটা ধর। অন্যদের ফোনে হয় হিন্দি বা ইংরেজি গান। আমার সেগুলো শুনতেও ভালই লাগে। সমস্যা হল, নিজের ফোনে সেরকম কিছু সেট করতে কেন যেন ইচ্ছে হয় না আমার। আমার ফোন চিরকাল ঐ ‘ভাইব্রেইট মোডে’ দেয়া। যখন রিং আসে, পকেট কাঁপতে থাকে, আর মৃদু ঘোঁত ঘোঁত একটা শব্দ হয়।
পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি—একটি অপরিচিত নাম্বার। অপরিচিত, কিন্তু একবার দেখেই আমার মনে হয় , এ কলটি রাখীর। কেন এমন মনে হয়, তার কোন যুক্তি নেই অবশ্যই। চেনা পরিচিত মানুষজনের মধ্যে হু হু করে ফোন ব্যবহার বাড়ছে, সবার নাম্বারও সেভ করা নেই। কল আসলে বেশ আগ্রহ করে জেনে নেই—কে বলছেন। কিন্তু ‘রাখীর ফোন’—এ আনন্দ-আশংকা সত্ত্বেও আমি ফোনটি ধরতে খানিকক্ষণ ইতস্তত করি। ফোনটা ধরবো কি ধরবো না—এ দ্বিধাদ্বন্ধে থাকতে থাকতে ফোনটা চুপ হয়ে যায়। আমি সেটা পকেটে রেখে দিই।
আমি যে ফোনটা না ধরে কেটে দিয়েছি—সেটা অন্যরা খেয়াল করলেও কেউ কোন প্রশ্ন করে না। আমিও কিছু বলি না। মহাখালি রেলগেইটের ঠিক আগে আগে, ট্রেন-লাইনের ঢালু জায়গাটায় বছরখানেক ধরে একটা ছোট্ট বস্তি-মতোন তৈরি হয়েছে। প্লাষ্টিক-তেরপল দিয়ে বানানো সাত-আটটার মতো ঘুপচি ঘর। দুয়েকটা ঘরে কেরোসিনের কুপি জ্বলছে। বাহির থেকে কুপির আলোগুলোকে কী যে সুন্দর লাগছে, যেন নরম তুলতুলে আলোর ছিটা ছড়িয়ে আছে ঘোলাটে প্লাষ্টিকের গায়ে। কোন একটা ঘরে বোধহয় ভাত রান্না হচ্ছে, ভাতের সুন্দর গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
জায়গাটা প্রায় পেরিয়ে এসেছি—এমন সময় দেখি একটা বড় পিপুল গাছের নিচে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের সাড়া-শব্দ পেয়ে সামনে এগিয়ে এলো। এগিয়ে আসতে আসতে লম্বা সালাম দিতেই বুঝতে পারি—মানুষটা জগাভাই। উনি বোধহয় আমাদেরকে ঠিক চিনতে পারেননি প্রথমটায়। আকাশে জোছনা উপরের গাছটার ডাল-পাতায় আটকে যাওয়ায় এখানে থোক-থোক অন্ধকার তৈরি হয়েছে। আমরা চুপ করে থাকি। জগাভাই আরেকটু সামনে এগিয়ে আসেন। তার হাতে টর্চ। সেটি রেললাইনের দিকে এমনভাবে জ্বালিয়ে ধরেন—যাতে আলো আমাদের সরাসরি মুখে না পড়লেও মোটামুটি সবার মুখই দেখা যায়।
আমাদের চিনতে পেরে জগাভাই খানিকটা হৈচৈ করেই সম্বোধন করে উঠেন। এতক্ষণে আমরা খেয়াল করি, জগাভাই একা নন। পিপুল গাছটার ছায়ায় আরেকটা মানুষ আছে। একটা না, দুটো, দুটো মেয়েমানুষ। আমাদের চোখ ওদিকে পড়তেই জগাভাই কৈফিয়তের সুরে বলেন, আমার দুইটা বইন আছে লগে।
তারপর মেয়েগুলোর দিকে তাকিয়ে ধমকে উঠেন, এই সালাম দিলি না! একটু যদি আদব-কায়দা থাকতো—
মেয়েগুলো সালাম দেয় আমাদের। কোরাস সালাম। দুজনের গলাই খুব সরু— অন্ধকারে কেমন রিনরিন করে ওঠে, কিন্তু সালামের স্বরে স্পষ্ট তাচ্ছিল্যের ভাব। সালাম দিতে দিতে মেয়ে দুটো আরেকটু সামনে এগিয়ে আসলে আমরা বুঝতে পারি—দুজনেই বেশ অল্পবয়সী। কড়া লাল লিপস্টিকের রঙ আবছা অন্ধকারেও ঝলঝল করছে। সস্তা সেন্টের গন্ধে জায়গাটা ভুর ভুর করে ওঠে সহসা। উগ্র সাজগোজও বেশ চোখে পড়ে।
জগাভাই আবার ধমকে ওঠেন, তোদের আসা লাগবে না। ঐখানেই বয়া থাক, ইনারা ভদ্রলোকের ছেলে—
মেয়ে দুটো পিছু হটে যায় আবার। পিছাতে পিছাতে কেমন ‘খ্যাঁক’ করে হেসে উঠে, এবং পরক্ষণেই কানে আসে—‘সত্যই নি, ভদ্দরনোক, ওরে বাপরে, হি হি হি’। সেই একই কোরাসে, সরু গলায়। জগাভাই বোধহয় আবার ধমকে উঠতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজেকে সামলান। বিড়বিড় করে কৈফিয়তের স্বরে বলেন, নদীভাঙা মাইয়া, নদীভাঙা—
আমরা তখনো চুপ করে আছি। তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ভাইজানরা কি কোথাও যাইতাছেন?
আমরা স্রেফ হাঁটতে বেরিয়েছে—শুনে তিনি খানিকটা ত্যালত্যালে গলায় বললেন, নতুন চালান আনছি, হাতে সময় থাকলে একটু চাখতেন? নতুন জিনিস—
কী জিনিস?—আমরা আলগা স্বরে জানতে চাই।
তিনি জিনিসটার নাম জানান, মহুয়া।
নামটা বলে তিনি কেমন রহস্যময় ভঙ্গিতে হাসেন। মহুয়া-র নাম আগে কখনো শুনিনি। আমরা পরস্পর চোখ চাওয়াচাওয়ি করি। স্বীকার করা দরকার—পানীয়ের ব্যাপারে আমাদের হাতেখড়ি এই জগাভাইয়ের মারফতে। উনার সাথে আমাদের পরিচয় অতি-নাটকীয় ভাবে। তখন সবেমাত্র মহাখালি ফ্লাইওভারটি তৈরি হচ্ছে। ফ্লাইওভারের নিচে অনেকগুলো ছোট ছোট টংয়ের ভাজা-পোড়া খাবারের দোকান। একদিন সন্ধ্যের একটু পরে আমরা এমন একটা ভাজা-পোড়ার দোকানের নিচে দাঁড়িয়ে চিকেন পোড়া খেতে খেতে গল্প করছিলাম। তখনও ঢাকা শহরের প্রতি মোড়ে মোড়ে ফ্রাইড চিকেনের দোকান হয়নি, অল্প পয়সায় মুরগীর ঠ্যাং-পাখনা চিবোনোর জন্য ঐসব টংয়ের দোকানের তাওয়াই ছিল একমাত্র ভরসা। তারিখটা স্পষ্ট মনে আছে আমাদের—৮ই ডিসেম্বর, ২০০২। এমন সন-তারিখ মনে থাকার কারণ, এর ঠিক একদিন আগে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে বেশ হতাহত ঘটে। এছাড়াও প্রায়ই এখানে ওখানে হঠাৎ হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এসব কারণে বাসা থেকে এদিক-ওদিক যেতে আমাদের উপর বেশ বিধি-নিষেধ তৈরি হয়েছিল বলে নানান ফন্দি-ফিকির করে আমরা বেরিয়ে পড়তাম। যাই হোক, চুলায় তাওয়ার একদম পাশ ঘেঁষে আমরা খাচ্ছি, আর আমাদেরকে একটু আড়াল করে দুজন লোক কিছু একটা নিয়ে বেশ চাপা গলায় তর্ক করে যাচ্ছে। প্রথমটায় আমরা তেমন পাত্তা দেইনি। নিশ্চয়ই রাজনৈতিক তর্ক। দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ চলছে, প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে রাস্তায়। একটু বয়স্কদের নিত্য দিনের একটা কাজ হল পরস্পরের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়-আশয় নিয়ে তর্ক-বির্তক করা। আমরা সেগুলোতে কান দেই না। আমরা নিজেরাও বোধহয় শচীন না লারা—কে বেশি ক্ল্যাসিক ব্যাটসম্যান—এ বিষয় নিয়ে তর্ক করছিলাম, তাই ঐ দুইজন অপরিচিত লোকের তর্ক কানেও ঢুকছিল না আমাদের।
হঠাৎ একটা লোক অপরজনকে একটা ঘুষি বসিয়ে দেয়। ঘুষি খেয়ে লোকটা মাটিতে পড়ে যায়। আমরা হৈ হৈ করে উঠি। এসব জায়গায় প্রায়ই এমন মারপিট লাগে। আশেপাশের লোকজন তখন কাজকর্ম বাদ দিয়ে মারপিটরত দুইজনকে মাঝখানে রেখে নিজেরা গোল হয়ে জায়গাটাকে রেসলিংয়ের রিঙের মতো তৈরি করে ফেলে, তারপর তারিয়ে তারিয়ে দুই বীর-যোদ্ধার ‘পিটা-পিটি’ উপভোগ করে। সারাদিনের খাটুনির পর বাসায় ফেরার আগে ফ্রিতে খানিকটা ‘কাঁচা’ বিনোদন পাওয়ার সুযোগ কেউ সহজে হারাতে চায় না!
কিন্তু ঝগড়াটা এক ঘুষিতেই মিলিয়ে যায়। ঘুষি খাওয়া লোকটার নাক থেকে গল গল করে রক্ত পড়ছে। সে পকেট থেকে রুমাল বের করে নাক চেপে ধরে। তারপর ধীরে-সুস্থে উঠে ঘুষি প্রদাণকারী লোকটাকে বলে, কিয়ের লাগি এমন মাথাটা গরম করস? আচ্ছা যা, এক কার্টন ‘দাদা’ পাবি কালকে।
এমন শান্ত স্বর যেন অশান্ত ছোটভাইকে কোন বড়ভাই বোঝাচ্ছে। ছোটভাইও দেখলাম, আমাদের মুরগীভাজাওয়ালার থেকে এক বোতল পানি নিয়ে ঘুষি-খাওয়া লোকটা দিব্যি সেবা শ্রুশ্রুষা শুরু করে দেয়। একটা উত্তেজক মারপিট দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আমরা কিঞ্চিত ব্যর্থ মনোরথ হয়ে আবার মুরগীর চিবোনোয় ফিরে যাচ্ছিলাম, কিন্তু ‘এক কার্টন দাদা’ কথাটায় কেমন হোঁচট খাই। এ আবার কী জিনিস রে বাবা! সুতরাং, আমাদের নিজেদের তর্ক বন্ধ করে এদের দিকে আমাদের কান চলে যায়। শুনি, যাকে দাদা দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, অর্থাৎ সেই মাথা গরমওয়ালা ঘুষিদাতা ভদ্রলোক, তিনি চাপা গলায় গরগর করে বলে চলেছেন, খালি দাদায় হবে না, টারজান, উড়ান আর ওয়ান্ডার—এই তিনটারই অর্ডার আছে আমার। কাল না পৌঁছাতে পারলে চিবায়া খায়া ফেলবে, এই কথাটা তোরে আমি কেমনে বুঝাই—
নাক-ফাটা ভদ্রলোক তার উত্তরে আরো চাপা গলায় উত্তর দেন, জিনিসটা বর্ডার তন খালাস করছি, কিন্তু আনতে পারতেছি না—এইটা তো বুঝা লাগবো। অবরোধে একটা ট্রাকও বাইর হইছে রাস্তায়, তুই ক?
আরো কিছুক্ষন এরা দুজন তর্ক করার পর মাথাগরম করা লোকটা জায়গাটা ছেড়ে চলে যায়। নাক-ফাটা ভদ্রলোক তখন চিকেনের পাখনা ভাজির অর্ডার দেন।
টারজান! উড়ান! ওয়ান্ডার!—শব্দগুলো জিহ্বায় আওড়াই আমরা মনে মনে। কী জিনিসের কথা বলছে এরা! আমাদের সাথে ফয়সাল ছিল সেদিন। ও আচমকা লোকটার কাছে গিয়ে বলল, মামু, জিনিস আছে?
কী জিনিসের কথা হচ্ছে—সে সম্পর্কে আমাদের যেমন ধারণা নেই, ফয়সালেরও না। তবে ও চিরকালই এরকম। কোন বিষয়ে কৌতূহলী হলে আগ-পিছ না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে।
লোকটা প্রথমটায় কেমন চমকে উঠলো। তার সামনে ততক্ষণে এক প্লেট মুরগীর পাখনা। সেটা থেকে একটা তুলে নিয়ে কড়মড় করে চিবুতে চিবুতে বলল, কী জিনিসের কথা কন?
লোকটার গলা খাদে নামা। ভাবখানা এমন যে কিছু বুঝতে পারছে না, কিন্তু একই সঙ্গে ব্যাপারটা যে জোরে জোরে বলারও না, গলা খাদে নামিয়ে বুঝিয়ে দেয় সে। ফয়সাল ওর মতোই গলা খাদে নামায়, টারজান।
লোকটা এবারে এদিক ওদিক তাকিয়ে নেয়। তারপর আমাদের সবার দিকে বেশ অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে বলল, রেলগেইটের উত্তর কোণা, আধাঘন্টার মধ্যে আসতেছি—
বলেই হন্ হন্ করে হাঁটা ধরে সে। চিকেনের প্লেটটাও ঠিকমতো শেষ করে না। আমরা খানিকটা বেকুবের মতো দাঁড়িয়ে থাকি। লোকটা চলে যেতেই ফয়সালের পিঠে থাপ্পড় পড়ে আমাদের, শালা, তরে কি ভূতে কিলায়? কীসের কী—
হঠাৎ মুরগীভাজাওয়ালার স্বর শুনতে পাওয়া যায়, দালাল। তয় মানুষ খারাপ না—
এই মুরগীভাজাওলার থেকেই লোকটা সম্পর্কে জানতে পারি আমরা। লোকটার নাম—জগা। সস্তায় এক নম্বর বাংলা-মদ খেতে চাইলে জগার বিকল্প নাই।
বাংলা-মদ! আমরা আঁতকে উঠি। সিগারেট এবং সিগারেটের ভেতরে পুরে মাঝে মাঝে গাঁজা খাওয়া পর্যন্ত এগিয়েছি আমরা ততদিনে, কিন্তু ঐ ‘শক্ত-পানীয়’ পেটে পড়েনি তখনো। যদিও আমাদের কলেজের অনেক বন্ধুই এসব চেখে ফেলেছে ইতিমধ্যে, এবং এসব খাওয়ার পরে কী দারুণ ‘ফিলিংস’ হয়—সেটার সবিস্তারে বর্ণনা দিয়ে আমাদেরকে ইর্ষান্বিত করে ফেলেছে।
ভীষণ একটা উত্তেজনা কাবু করে ফেলে আমাদের হঠাৎ। একই সঙ্গে দ্বিধা-দ্বন্ধে পড়ে যাই। যদি খেয়ে ‘আউট’ হয়ে যাই। আর আউট হয়ে সেই অমিতাভ বচ্চনের মতো ‘ইয়ে যো মহব্বত, ইয়ে উনকা হি কাম’ গাইতে গাইতে নিজ গলিতে গড়াগড়ি যেতে শুরু করি!
আমাদের মধ্যে একটা স্পষ্ট ভাগাভাগি তৈরি হয়। তিনজনের মতে, অপরিচিত একজন মানুষের কাছ থেকে নিয়ে এসব খাওয়া একদম ঠিক হবে না। বেশিরভাগ বাংলামদই দুই নম্বর। প্রায়ই পত্রিকার পাতায় ভেজাল স্পিরিট খেয়ে মৃতূবরণ করা মানুষের খবর ছাপা হয়। অন্য তিনজনের মতে, আমরা তো আর নিয়মিত খাচ্ছি না। একটা অভিজ্ঞতাও তো দরকার। আর এসব খাওয়া-খাদ্য পাবার জন্য পরিচিত মানুষ পাবো কোথায়? মুরগীওয়ালা তো বলেছেই লোকটা এক নম্বর জিনিসের কারবার করে।
যদিও দুই পক্ষ—কিন্তু আসলে সবার মধ্যেই যে এক ধরনের কৌতূহল কাজ করছে—সেটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছিল। তবু পরে যাতে কেউ কাউকে দোষারোপ করতে না পারে, সেটা ভেবে—রেলগেইটের উত্তর কোণায় যাবো কি যাবো না—এ নিয়ে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেই আমরা। এবং ভোটে পাঁচ-এক—এর পরিষ্কার ব্যবধানে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হয়।
(চলবে)