
উড্ডয়নসূত্র ॥ পর্ব- ১৭
সামান্য কয়েকটা মুহূর্ত, কিন্তু টের পেলাম সবাই দর দর করে ঘামছি। যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেছে—এমন অবস্থা। যে গর্তটাতে রিকশা আটকে গিয়েছিল বলে ভেবেছিলাম—সেটা আসলে ঠিক গর্ত না। রাস্তায় কিনারায় কোন কারণে বেশ ভাল রকম ফেটে গেছে, ফেটে লম্বা আঁকা-বাঁকা কয়েকটা গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আর রিকশাওয়ালাটা তাড়াহুড়ায় ওর মধ্যেই রিকশার চাকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। চাকার কয়েকটা স্পুন ভেঙে গর্তের ভেতরে থাকা পাথরের সাথে বেকায়দায় আটকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি।
গেইট ওঠে গেছে ইতিমধ্যে। লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের ঘিরে ধরেছে। ভীড়ের মধ্যে কে যেন মোহনকে উদ্দেশ্য করে বলল, আরেকটা চড় দেন হারামজাদাটারে। হালায় রিশকা লইয়া বার হইছে, মগর আল-বাইল কিচ্ছু বুঝে না।
আরেকটা গলা শোনা গেল, চিন্তা করে দেখেন, হ্যাঁ, তোর রিকশা বড়, না জীবন বড়? আরে ব্যাটা, রিকশা গেলে রিকশা পাবি, জীবন গেলে—
এ গলাটা শিক্ষিত কারো মনে হলো। সুযোগ পেয়েই শুদ্ধ ভাষায় বাংলা সিনেমার দর্শন ঝাড়ছে।
সবচেয়ে ক্ষ্যাপা গলা শোনা যায় গেইটম্যান বজলু মামার কাছ থেকে। বেচারা এখন অনেকটাই বুড়ো, হাঁপানোর ব্যারাম আছে। উত্তেজনায় এ মুহূর্তে ওর হাঁপানোটা মনে হয় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বেশ কষ্ট করেই গলা তুললেন উনি, আরেকটু হলেই এই ‘… পুত’ আমার চাকরি খাইয়া দিছিল। আরেকটু হলেই, বুঝলা মামা—
আমাদের কাছে বিচার দিতে চান উনি। ‘পুত’ শব্দটার আগে খুব খারাপ একটা গালি দেন বজলু মামা। বুঝতে পারি, টেনশনে বেচারার মাথা আউলা-ঝাউলা হয়ে গেছে। সেই ছোটবেলা থেকেই তো চিনি, কোনদিন আমাদের সামনে মুখ খারাপ করতে শুনিনি উনাকে।
কীভাবে তার চাকরি নিয়ে টান পড়তো—সে কথাটা সবিস্তারে বুঝাতে যান উনি। তবে শেষ করতে পারেন না। মুখে কথা আটকে যায়। উত্তেজনায় গোঁ গোঁ নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা যায় কেবল।
আকতার এগিয়ে গিয়ে তাকে সামলায়, তোমার মামা আর কথা বাড়ায়া লাভ নাই। গেইট আটকায়া রাখছো ক্যান এখনো? পাবলিক তো সব আটকে আছে গাড়ি নিয়া—
মুহূর্তে দাঁতে জিভ কাটে বজলু মামা। দুইপাশ থেকে নানান ধরনের গাড়ির প্যাঁ-পোঁ বাজতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। তিনি আবার দৌড়াতে দৌড়াতে গেলেন গেইট তুলতে।
এবারে আরেকটা গলা শোনা যায়, হালার পুতে একটা রিকশা ঠেইলা তুলতে পারে না, আসছে রিকশা চালাইতে, কইসা কান বরাবর দুইটা দেওয়া দরকার—
মোহন কপালের ঘাম মুছছিল। পাবলিকের এইসব উত্তপ্ত আলোচনা আর সহ্য করতে পারে না ও। আচমকা খেঁকিয়ে ওঠে, ফাইজলামি করেন, হ্যাঁ, দাঁড়ায়া দাঁড়ায়া ফাইজলামি করেন? কোন হালায় আগায় আসলো না বেচারে একটু হেল্প করতে—
মোহনের ধমক শুনে লোকজনের চুপসে যায়। তারপর একটা নিচু গলার পারস্পরিক আলোচনা চলতে থাকে চারদিকে। বিষয়বস্তু: রিকশাওয়ালাদের খামখেয়ালিতে ঢাকা শহরের কোন কোন রেলগেইটে এ ধরনের এক্সসিডেন্ট হয়েছে। আমার মাথায় হঠাৎ একটা বুদ্ধি খেলে যায়। মোহনের কাঁধে আঙুলের টিপ দিয়ে ওকে ইশারা করি আর কিছু না বলতে। তারপর চারদিক হতে গোল হয়ে আসা জনগণেরর উদ্দেশ্যে গলা তুলি,
—ভাই, গরিব রিকশাওয়ালা। মাফ কইরা দেন।
মাফ করার কথায় লোকজন থতমত খেয়ে যায়। নিচু গলার আলোচনাটা থমকে যায় কয়েক মুহূর্তের জন্য। সে সুযোগে আমি চালিয়ে যাই,
—যে যা পারেন এরে একটু সাহায্য করে যান। রমজানের দিন—একে সত্তর। বেচারার একটা চাকা পুরা শেষ। সদকা ফিতরা জাকাত—যে যা দিবেন দিয়া যান।
লোকজনের ভীড় হঠাৎ পাতলা হতে শুরু করেছে এ কথায়। কিন্তু খেয়াল করলাম—কয়েকজনের হাত পকেটে ঢুকে পড়েছে। আমি রিকশাওয়ালাকে তাড়া লাগাই,
—এই মিয়া, ভ্যান্দার মতো খাড়ায়া রইলা কেন? গামছাটা পাত, রিকশা ঠিক করা লাগবে না?
রিকশাওয়ালাটার হতভম্ব ভাবটা এখনো কাটেনি। সে অবস্থাতেই ও গলার গামছা দুইহাতের চেটোয় মেলে ধরে। সেই গামছার উপর এক টাকা, দুইটাকা করে পড়তে শুরু করে। আড়চোখে দেখলাম, দুয়েকটা দশটাকার নোটও ইতিমধ্যে জমা হয়েছে।
আমি মসজিদের চাঁদা তোলার মতো করে আবারো গলা তুলি, দেন, দেন, ভাই, যে যা পারেন দিয়া যান। গরিব বেচারা, আপনারা না দিলে বউ-পোলাপাইন লইয়া না খাইয়া মরব। লগে আছে মালিকের প্যাদানি—সদকা যাকাত ফিতরা, যে যা পারেন —একে সত্তুর।
হুড়মুড় করে টেম্পু রিকশা ভ্যান মানুষজন চলতে শুরু করেছে এখন। আমাদেরকে ঘিরে থাকা ভীড়টাও প্রায় হালকা হয়ে গেছে। রিকশাওয়ালাটার গামছাতে ছোটখাট টাকার স্তুপ জমে গেছে এই অল্প সময়েই। এবারে ওকে বললাম, বহুত হইছে। এবারে গোনো কত টাকা। রিকশা সারানির দাম রাইখা বাকিটা দিয়া যাও। আমাদের বখরা—
রিকশাওয়ালাটা সত্যি সত্যি টাকা গুনতে বসল। আমরা অপেক্ষা করে থাকি। টাকা গোনা শেষ হলে ও জানালো, চারশ সাতাশ টাকা।
আমাদের চোখ কপালে উঠে যায়, চারশ সাতাশ? ওরে সর্বনাশ, মাত্র দশ মিনিটে এত টাকা উঠে গেলো।
রিকশাওয়ালাটা দাঁত বের করে হাসে। ওর দাঁতের মাঝখানে বড়সড় একটা গর্ত। ফোকলা দাঁতে ও বলে, আপনারা পুরাটা নিয়া যান, ভাই। আমার জীবন বাঁচাইছেন—আমার আর কিছু লাগতো নায়। এইটা আমার নিজা রিকশা।
জমিন বেইচা কিনছি। তাই পরাণে ধইরা ছাড়তে পারি নাই। মালিকের হইলে ফালাইয়া থুইয়া জানা বাঁচাইতাম আগে, পরে যা হওনের হইতো—
মোহন আবার হাত তুলে।
—ভাগ, ফাজিলের ব্যাটা ফাজিল। ভিক্ষার টাকায় আসছে জান বাঁচানোর দাম দিতে! একটা থাপ্পড় দিবো আবার—
ওর গলায় রাগ নেই আর। আমরা হাসি। রিকশাওয়ালাটাও হাসে।
—দেন গো, ভাই, আরেকটা থাপ্পড় দেন।
—হ, তোমারে থাপ্পড় দেওনেরই কাম। যাও, রিকশা ঠিক করাও গিয়া। এমন উল্টা-পাল্টা ঘটনায় আর যদি দেখি রিকশা সুদ্ধ তোমারে ট্রেনের তলায় দিয়া দিমু—
গলাটা জয়ের। কথাটা বলে ও হাত পাতে রিকশাওয়ালার দিকে—
—দেখি, কী বিড়ি খাও, বিড়ি দিয়া যাও আমগোরে।
বিড়ি চাওয়ায় বেচারা হাতের নাগালে চাঁদ পায় যেন। দ্রুত হাত চালিয়ে পরনের লুঙির ভাঁজ হতে এক প্যাকেট আকিজ বিড়ি বের করে। খানিকটা দুমড়ে যাওয়া প্যাকেটটা জয়ের হাতে তুলে দিয়ে কৃতজ্ঞতার হাসি হাসে। আমাদের জন্য কিছু একটা করতে পেরেছে—এ আনন্দে আত্মহারা ও তখন।
জয় প্যাকেটটা হাতে নিয়ে বলে, হ, এই-ই বেটার। বহুতদিন বিড়ি খাই না। তুমি মিয়া এখনো বিড়ি খাও? আমি তো অনটেস্ট জিজ্ঞাসা করছি, আজকাল রিকশাওয়ালার হাতেও তো সিগারেট—
রিকশাওয়ালা উত্তর দেয়, আমাগোরে দেশি জিনিস। এই বিড়ির ফ্যাক্টরি আমার গেরামের লগে। দেশি জিনিসের টান, বুঝলেন না—
—তাইলে আর কী! ফ্যাক্টরি যখন তোমার গ্রামের লগে, আকিজ বিড়ি সাথে সাথে রাখবা। নেক্সট টাইমে রাস্তায় দেখা হইলে যেন চাওয়ার আগে পাই—
রিকশাওয়ালাটাকে পেছনে রেখে আমরা চলতে শুরু করি আবার। প্রথমে ভেবেছিলাম পশ্চিম নাখালপাড়ায় গিয়ে সুরমনের বাসায় হানা দেবো। শালায় দেখা করতে আসে নাই আমাদের সাথে, বাসায় গিয়ে একটা শিক্ষা দিয়ে আসবো। পরে মত পাল্টে রেললাইন ধরে পশ্চিম দিকে হাঁটতে শুরু করি আমরা। প্রত্যেকের হাতে আকিজ বিড়ি। বহুদিন পর বিড়ি খাচ্ছি। তামাকের কাঁচা ধক্ বুকের ভেতর বাড়ি মারছে। ঝিম ঝিম করে উঠছে ব্রক্ষ্মতালু।
রেললাইনের পাতের উপর পা রেখে রেখে মহাখালির দিকে হাঁটছি আমরা এখন। লিচুবাগানের এলাকাটা পেরিয়ে আসতেই চারদিক বেশ অন্ধকার হয়ে এল। এদিকটাতে দোকান-পাট তেমন একটা হয়নি এখনো। গা ঘেঁষাঘেষি বাড়ি-ঘরও উঠেনি ঠিক মতো। তাই বেশ খোলা-মেলা লাগে। তবে খুব বেশিদিন এ অবস্থাটা থাকবে বলে মনে হয় না। কয়েকটা জায়গায় ইতিমধ্যে কনস্ট্রাকশন শুরু হয়ে গেছে। বড় জোর আর বছর কয়েক। তারপর এপার্টমেন্ট আর দোকানপাটে ভর্তি হয়ে যাবে এই এলাকাটাও। রসুলবাগের বিলটাতে মাসকয়েক ধরে মাটি ফেলা হচ্ছে। এই কিছুদিন আগেই বেশ জলজ একটা পরিবেশ ছিলো এখানে। গ্রাম-গ্রাম একটা ভাব আসতো এদিকটাতে আসলে। বর্ষাকালে এ বিলের মধ্যে নৌকা বাওয়ার স্মৃতিও আছে আমাদের। নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে, এখনো যেটুকু জলাভূমি টিকে আছে, ওটুকু স্থলভূমি হয়ে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বেশ কয়েকটা এপার্টমেন্ট তৈরির বড় বড় বিলবোর্ড দাঁড়িয়ে গেছে নানান জায়গায়। ফ্ল্যাট-প্লট কেনার লোভনীয় সব প্রস্তাবনা। প্লট বা ফ্ল্যাট বুকিং দিলে বত্রিশ ইঞ্চি সনি টিভি ফ্রি-র কথাটার উপর বাতি জ্বলছে কয়েকটা। তার নিচে একটা রঙিন টিভির পর্দার ছবি। টিভি পর্দায় বলিউডের নায়িকা জুহি চাওলার মুখ। চারদিকের অন্ধকারের ভেতরে ফুলের মতো ফুটে আছে মুখটা।
একটা খোলা হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করেছে। আমরা মোটামুটি চুপচাপ বিড়ি টানতে টানেত হাঁটছি। কান পাতলে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা যায়। হাওয়া উড়ে এলে কখনো কখনো দুগর্ন্ধ নাকে লাগে, হঠাৎ হঠাৎ কোন একটা অজানা ফুলের গন্ধও পাওয়া যায়। আকাশে তাকিয়ে দেখি, পূর্ণিমার চাঁদটাও আমাদের সাথে মহাখালির দিকে রওয়ানা হয়েছে।
আগবাড়িয়ে এমন বিপদজনক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার জন্য মোহনকে দোষারূপ করি আমরা, তুই তো শালা আরেকটু হলে আমাদের সবাইকে মেরেই ফেলেছিলি আজ।
মোহন উত্তর দেয় না। মিটিমিটি করে হাসে। হাতের বিড়িটা শেষ হয়ে যাওয়াতে আরেকটা বিড়ি ধরায়। অবশ্য এ ব্যাপারে ওকে তেমন বলে-কয়ে কোন লাভ নেই। এমন আগপিছ না ভেবে অন্যের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া ওর স্বভাবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই তো কদিন আগের ঘটনা। কলেজ থেকে ফিরছি। ফার্মগেট ওভারব্রিজটা পার হয়ে সবে হলিক্রসের সামনে এসেছি, এমন সময় আমাদের চোখের সামনে একটা লোক রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যায়। ঠিক আজকের মতোই রাস্তার লোক সব জড়ো হয়ে গেছে, কিন্তু কেউ কিছু করতে এগিয়ে আসছে না। আমরা সবাই যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ভাবছি কী করা যেতে পারে, লোকটাকে ধরে তুলবো—না কী করবো, ততক্ষণে মোহন পাশের দোকানে ঢুকে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি নিয়ে এসেছে, অচেতন হয়ে পড়ে থাকা লোকটার চোখে-মুখে ছিটাতে শুরু করেছে। ঘটনা অবশ্য খুব বেশিদূর আগায় না, কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিতে না দিতেই লোকটার জ্ঞান ফিরে আসে। আমরা নিশ্চিত, পানির ঝাপটায় যদি খানিকক্ষণের মধ্যে সম্বিত ফিরে না পেতো, তবে ও সিএনজি ডেকে লোকটাকে নিয়ে হাসপাতাল রওয়ানা হয়ে যেতো।
জোছনার সাদাটে আলো ছড়িয়েছে চারদিকে। রেললাইনের লম্বা পাতগুলো চাঁদের আলোয় চক চক করছে। পাতগুলোর সাথে আড়াআড়ি বিছানো কাঠের টুকরোগুলোতে পায়ে পায়ে চলতে ছোটবেলায় আমাদেরকে ব্যাঙের মতো লাফাতে হতো। এখন একটু লম্বা করে পা ফেললেই এক টুকরো থেকে আরেকটাতে পৌঁছে যেতে পারি অনায়াসে। তবু হঠাৎ হয়তো সেই ছোটবেলার কথা মনে করেই আমরা পাঁচজনেই বেশ কিছুক্ষন লাফিয়ে লাফিয়ে চললাম। তারপর খিলখিল করে অকারণ হেসে চুপ করে যাই। ইতিমধ্যে রসুলবাগের খোলা জমিনটা পেরিয়ে এসেছি আমরা। জায়গায় জায়গায় দু’একজন মানুষের জটলা, অন্ধকারে বসে বসে সিগারেট টানছে। এ দিকটাতে আগে বেশ ঝোপঝাড় ছিল, প্রায়ই শেয়াল-টেয়াল দেখা যেতো। এখন বেশ খোলামেলা। সামান্য দূরে মহাখালি রেলগেইটের আলো কেমন যে বিচ্ছিরি লাগছে! আমরা যেহেতু কোন উদ্দেশ্য ঠিক করে হাঁটা ধরিনি, তাই ঠিক কোথায় যাচ্ছি—কেউ কাউকে প্রশ্ন করি না। স্রেফ হাঁটতে ভাল লাগছে— সে জন্যই হাঁটা।
ফিনফিনে বাতাস দিচ্ছে থেকে থেকে। তার ঝাপটা গায়ে লাগতেই হঠাৎ বুঝতে পারি—একটা অজানা দুঃখবোধ আমাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে ধীরে ধীরে। অনেকক্ষণ ধরেই আমরা কেউ কোন কথা বলিনি। সেই বোধ থেকেই হয়তো বা জুয়েল শিস বাজিয়ে কোন একটা হিন্দি গানের সুর তোলার চেষ্টা করলো, কিন্তু সুরটা তেমন জমলো না। বেচারা দুই তিন বার চেষ্টা করে আবারো চুপচাপ হয়ে গেলো।
(চলবে)