
অংশীদার
ওদের আলাপের তখন মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা হয়েছিল। ওরইমধ্যে মেয়েটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছেলেটি ওকে নিয়ে শেষ অব্দি হেঁটে এলো। এরপর কখনো অতি সৌখিন কোনো খেলনার মতো মেয়েটিকে নিয়ে খেলত। আবার ঘরের কোণে অপ্রয়োজনীয় বস্তুর মতো অবহেলায় ফেলে রাখত।
যেমন এক মাঘী পূর্ণিমার রাতে ছেলেটি পৃথিবীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে একা হয়। চন্দনগোলানো আলোয় তখন বিশ্বচরাচর ভেসে যাচ্ছে। দূর থেকে আসা কামিনী ফুলের ঘ্রাণ বাতাসে মাদকতা ছড়িয়ে দিয়েছে। একমুঠো বাতাস হাতে পুরে মেয়েটির মুখে মাখিয়ে দেয়। আর হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশ থেকে বলে, ‘এসো, আমরা পরস্পর ঠোঁটের সঙ্গোপন আলাপনে জীবনের আয়ু বাড়াই।’ মেয়েটিকে তখন অনাস্বাদিতপূর্ব এক বিহ্ববলতা পেয়ে বসে। সঙ্গে ঝিরঝিরে বাতাসের কোমল স্পর্শ। মায়ায় জড়ানো কী এক আকুলতায় ওরা ক্রমাগত বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল তারার দেশে…
অনেকটা কৌতূহলবশতই মেয়েটি এসব খেলা উপভোগ করতে শুরু করে। বেশকিছু সময় গড়ালে মেয়েটি এই খেলার নিয়মগুলো শিখে ফেলে। অনেকদিনের অভ্যস্ততায় একদিন নিজেকে খেলার অংশীদার ভাবতে শুরু করে। ঠিক তখন ছেলেটি খেলাটা ভেঙে দেয়…
মেয়েটির চারপাশে এখন হিমঘরের নিস্তব্ধতা…